ঘূর্ণিঝড় রেমাল: চট্টগ্রাম বন্দরে ব্যাপক প্রস্তুতি
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। সব ধরনের লাইটার জাহাজকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে। সংকেত বাড়লে জেটিতে থাকা জাহাজও পাঠিয়ে দেওয়া হবে বহির্নোঙরে।
শনিবার এ তথ্য জানান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, এর আগে সমুদ্র বন্দরসমূহকে এক নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হলেও বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল। তবে তিন নম্বর সংকেত দেখাতে বলার পর ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়া শুরু হয়েছে। বন্দরের স্টান্ডিং কমিটির মিটিং ও অন্যান্য বিষয়ে বিভিন্ন কমিটিকে অ্যালার্ট করা হচ্ছে। সব ধরনের লাইটার জাহাজকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হচ্ছে। পাঁচ নম্বর সংকেত দেখাতে বললে জেটিতে থাকা জাহাজ বহির্নোঙরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
জানা গেছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়েছে। শনিবার সন্ধ্যার পর এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। সেই ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে ‘রেমাল’।
ঘূর্ণিঝড়টি রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যার পর বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানতে পারে। এ সময় উপকূলীয় এলাকায় সাত থেকে থেকে ১০ ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।