চকরিয়ায় ১০ বন্দুক ও ৫২ রাউন্ড গুলিসহ আটক ৪
জেলার চকরিয়ায় চিংড়ি ঘের দখল ও অপহরণকারী চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে আটক করেছে র্যাপিড অ্যাকশান ব্যাটালিয়ান (র্যাব-১৫)। এ সময় তাদের কাছে থেকে দেশীয় তৈরি ১০টি বন্দুক ও বিভিন্ন ধরনের ৫২টি গুলি জব্দ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (০২ জুলাই) দুপুরে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়ন কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাব সদর দপ্তরের পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) কমান্ডার আরাফাত ইসলাম।
আটকরা হলেন- চকরিয়া উপজেলার আকবর আহম্মদের ছেলে বেলাল হোসেন (৪৫), তার ভাই কামাল আহম্মেদ (৪২) ও আব্দুল মালেক (৩২) এবং মৃত জহির আহম্মেদের ছেলে নুরুল আমিন (৩৫)।
র্যাব জানিয়েছে, আটকদের মধ্যে নুরুল আমিন ছাড়া অপর তিনজনই আপন সহোদর। তারা সংঘবদ্ধ একটি ডাকাতদলের সদস্য। এসব অপরাধীরা ‘বেলাল বাহিনী’ নামে ১৫ থেকে ২০ জনের একটি দল গড়ে তুলে মৎস্য ঘের জবরদখল, লুট ও অপহরণসহ নানা অপরাধ করে আসছিল।
কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, সোমবার (০১ জুলাই) মধ্যরাতে চকরিয়ার উপজেলার সাহারবিল ইউনিয়নের কোরালখালী এলাকায় কতিপয় অস্ত্রধারী লোকজন মৎস্য ঘের দখল ও লুটপাতের উদ্দেশ্যে জড়ো হয়েছে খবরে র্যাবের একটি দল অভিযান চালায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে সন্ত্রাসীদের অবস্থান করা সন্দেহজনক এলাকাটি ঘিরে ফেললে র্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ৮-১০ জন লোক দৌড়ে পালানোর চেষ্টা চালান। এসময় ধাওয়া দিয়ে চারজনকে আটক করতে সক্ষম হয় র্যাব এবং অন্যরা পালিয়ে যান।
পরে আটকদের দেওয়া তথ্য মতে, ঘটনাস্থলের আশপাশে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় তৈরি ১০টি বন্দুক ও বিভিন্ন ধরনের ৫২টি গুলি পাওয়া যায় বলেও জানান তিনি।
র্যাবের এ কর্মকর্তা বলেন, আটকরা সবাই চিহ্নিত ডাকাতদল বেলাল বাহিনীর সক্রিয় সদস্য। আটকদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ডাকাতি, খুন ও অপহরণসহ নানা অভিযোগে একাধিক মামলা আছে। আটকদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে চকরিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।