চট্টগ্রামেও স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সেলারেটরের যাত্রা শুরু
চট্টগ্রামেও প্রথমবারের মতো যাত্রা শুরু করেছে স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সেলারেটর কার্যক্রম। ২৫ জন উদ্যোক্তা নিয়ে একটি ব্যাচ (কোহর্ট) গঠন করা হয়। এমন দুটি ব্যাচে মোট ৫০ জন উদ্যোক্তা দিয়ে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের (ডিড) অধীনে স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সেলারেটর কার্যক্রম শুরু হলো।
সোমবার নগরীর আগ্রাবাদে শেখ জামাল সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের এই দুইটি কার্যক্রম শুরুর মাধ্যমে চট্টগ্রামে স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সেলারেটর কার্যক্রমের উদ্বোধন হলো।
এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরুল্লাহ।
এসময় জি এস এম জাফরুল্লাহ বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে এই উদ্যোগগুলো সহায়ক হিসাবে কাজ করবে। নারী-পুরুষ-শিশু-কিশোর সকল শ্রেণির ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের জন্য এ ধরনের উদ্যোগের মাধ্যমে ধাপে ধাপে প্রি-সিড, সিড ফান্ড, কোম্পানি গঠন, আইপি রেজিস্ট্রেশন, মেন্টরিংসহ বিপণন সহায়তা দেওয়া গেলে আমাদের দেশীয় স্টার্টআপগুলো আন্তর্জাতিক বাজারে শক্ত অবস্থান তৈতি করতে পারবে।
অনুষ্ঠানের সূচনা বক্তব্যে ইনোভেশন অ্যান্ড কমার্শিয়ালাইজেশন স্পেশালিস্ট এ এন এম সফিকুল ইসলাম বলেন, প্রকল্পের আওতায় তিন হাজার শিক্ষার্থীর আইডিয়া বিকাশের মাধ্যমে স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের (ডিড) উপ প্রকল্প পরিচালক ড. মো. মনসুর আলম। উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে হাইটেক পার্ক পাশে আছে উল্লেখ করে তিনি ডিজিটাল উদ্যোক্তাদের জন্য হাইটেক পার্কের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সালারেটর কার্যক্রম প্রকল্পের কারিকুলাম, লার্নিং পোর্টাল এবং প্রকল্পের সাপোর্ট টিমের সাথে পরিচয় পর্ব পরিচালনা করেন প্রকল্পের সমন্বয়ক মো. আরিফুর রহমান। এতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিভিন্ন বয়সী প্রায় ৬০ জন উদ্যোক্তা।