চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের বিনোদন কেন্দ্রে ঈদ আনন্দে মেতেছে সবাই

ঈদের ছুটিতে দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখর চট্টগ্রামের সবকটি বিনোদনকেন্দ্র। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুর থেকে শিশু-কিশোরের পাশাপাশি বয়স্কদেরও দেখা গেছে পরিবার-পরিজন নিয়ে দল বেঁধে বিনোদন কেন্দ্রে যেতে।

দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সমুদ্র সৈকত পতেঙ্গা, চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা, ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড, পতেঙ্গা প্রজাপতি পার্ক, কর্ণফুলী নদীর অভয়মিত্র ঘাট, বহদ্দারহাট স্বাধীনতা পার্ক, আগ্রাবাদ কর্ণফুলী শিশু পার্ক, হালিশহর সাগর পাড় ছাড়াও সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সাগরপাড়, মীরসরাইয়ে মহামায়া লেক, আনোয়ারায় পারকি সমুদ্র সৈকত, ফটিকছড়ি চা বাগানে ভিড় জমে দর্শনার্থীদের।

পতেঙ্গা সৈকতে কেউ সমুদ্রের পানিতে গা ভাসাচ্ছেন।

কেউবা সমুদ্রের পাড়ে বসে গান গেয়ে আনন্দ মেতেছেন। সৈকত রাসেল নামে এক চাকরিজীবী পরিবার-পরিজন নিয়ে বেড়াতে এসেছেন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে। তিনি বলেন, সাগর পাড়ে এলে মন ভালো হয়ে যায়। বিশুদ্ধ বাতাস মনে প্রশান্তি আনে।

সৈকত এলাকায় দায়িত্বরত ট্যুরিস্ট পুলিশের সদস্যরা জানান, দর্শনার্থীরা যাতে কোনও সমস্যায় না পড়েন সেজন্য টহল দেওয়া হচ্ছে।

চট্টগ্রামের চিড়িয়াখানায় সাদা বাঘ থেকে শুরু করে সিংহ, বানর, হনুমান ও বিভিন্ন প্রজাতির হরিণসহ পশুপাখি দেখতে শিশু-কিশোরদের সঙ্গে এসেছেন বয়স্করাও। পাশাপাশি পাহাড়ের মাঝখানে থাকা খেলনাগুলোতে চড়ে আনন্দ উপভোগ করছে শিশুরা।

আবহাওয়া ভালো থাকায় কনকর্ড ফয়’স লেক অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ডেও ভিড় জমেছে দর্শনার্থীদের। এখানে আসা দর্শনার্থীদের প্রথম পছন্দ মনোরম লেক ভ্রমণ। এ কারণে বাড়ানো হয়েছে নৌকার সংখ্যাও। তরুণ প্রজন্মের পছন্দ ওয়াটার পার্ক সি ওয়ার্ল্ড। এখানে জল উৎসবে মেতে ওঠেন দর্শনার্থীরা।

সীতাকুণ্ডের গুলিয়াখালী সমুদ্র সৈকতজুড়ে কেউ যেন বিছিয়ে রেখেছে সবুজ ঘাসের গালিচা। ম্যানগ্রোভ বনে মাঝেমধ্যে দেখা মেলে হরিণের উঁকি, কখনো ছুটে চলে লাল কাঁকড়া। ঈদে বেড়াতে সেখানেও যাচ্ছে মানুষ। সৈকতে আছে দর্শনার্থীদের জন্য ওয়াশ ব্লক, রয়েছে দোকানপাটও। বেড়িবাঁধের পাশে রয়েছে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা। সৈকতের পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে বোটানিক্যাল গার্ডেন ও ইকোপার্কের সহস্রধারা ও সুপ্তধারা নামে দুটি ঝরনা। পর্যটকেরা সেখানেও ভিড় জমাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *