চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় কে এই ওয়াহিদ?

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখায় চেয়ারে বসে নিয়মিত ‘অফিস’ করেন ওয়াহিদ আলম নামের এক ব্যক্তি; অথচ তিনি কোনও সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী নন।

চট্টলার বার্তার কাছে আসা একাধিক ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, এলএ শাখার কানুনগো ও সার্ভেয়ারদের বসার কক্ষে টেবিলে বসে অফিস করছেন ওয়াহিদ।

আরেকটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কালো রঙের সরকারি আলমারি খুলে কাগজপত্র রাখছেন ওয়াহিদ। কাগজপত্র রাখা শেষে আলমারিটি বন্ধ করতেও দেখা যায় তাকে।

এলএ শাখায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওয়াহিদকে ‘ওমেদার’ হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে নিয়োগ দিয়েছেন এলএ শাখার সার্ভেয়ার মো. জুবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া। এই কারণে সার্ভেয়ার জুবায়েরের জন্য নির্ধারিত সরকারি আলমারি ব্যবহার করছেন ওয়াহিদ। তার বাড়ি হাটহাজারী উপজেলায়।

এই ওয়াহিদের বিরুদ্ধে ঘুষগ্রহণসহ নানাভাবে সেবাপ্রত্যাশীদের হয়রানির অভিযোগ রয়েছে।

ভূমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত একজন ব্যক্তি নাম প্রকাশ না করার অনুরোধ করে বলেন, ‘ক্ষতিপূরণের টাকা তোলার কাজের জন্য অনেক দিন ধরে আমি এলএ শাখায় যাচ্ছি। কিন্তু কাজ হচ্ছে না। সার্ভেয়ারদের ব্যক্তিগতভাবে নিয়োগ করা ‘উমেদার-সিন্ডিকেট’ই মূলত নিয়ন্ত্রণ করছে ভূমি অধিগ্রহণ শাখার কার্যক্রমসহ ঘুষের নেটওয়ার্ক। ওয়াহিদ মূলত উমেদার। তিনি সার্ভেয়ার জুবায়ের আহমেদ ভূঁইয়ার ইশারায় কাজ করেন।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বৃহস্পতিবার দুপুরে ওয়াহিদ আলম চট্টলার বার্তাকে বলেন, ‘আমি এলএ শাখায় কাজ করি না।’

এলএ শাখায় চেয়ারে বসে অফিস করা ও কালো রঙের সরকারি আলমারি খুলে কাগজপত্র রাখার ভিডিও ফুটেজ আছে- জানানো হলে, মুঠোফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন ওয়াহিদ।

এরপর আবার কল করা হলে ওয়াহিদের মুঠোফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।

ওয়াহিদকে ‘ওমেদার’ হিসেবে ব্যক্তিগতভাবে নিয়োগ দেওয়ার অভিযোগের বিষয়ে জানতে এলএ শাখার সার্ভেয়ার মো. জুবায়ের আহমেদ ভূঁইয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি।

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ শাখার সিনিয়র সহকারী কমিশনার এস এম আলমগীর চট্টলার বার্তাকে বলেন, ‘এলএ শাখায় বহিরাগত কাউকে পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি বিষয়টি খতিয়ে দেখব।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *