চট্টগ্রামের ৬ আসনে আওয়ামী লীগে ‘হেভিওয়েট’ বিদ্রোহী
বিএনপিবিহীন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীদের মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীরা। নমনীয় মনোভাবের কারণে বেশিরভাগ আসনে বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে। তবে মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে অনেক হেভিওয়েট বিদ্রোহী প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। বর্তমানে ৬ আসনে নৌকা শক্ত বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছে।
চট্টগ্রামের ১৬ আসনের মধ্যে চার আসনে নির্ভার রয়েছেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থীরা। বাকি ১২টি আসনে হেভিওয়েট বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
মনোনয়নপত্র বাছাইয়ে চট্টগ্রাম-১ আসনে গিয়াস উদ্দিন, চট্টগ্রাম-৪ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য দিদারুল আলম ও কেন্দ্রীয় উপ- কমিটির সদস্য লায়ন মোহাম্মদ ইমরান, চট্টগ্রাম-৮ আসনে সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান ও নগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আরশেদুল আলম বাচ্চু, চট্টগ্রাম-১০ আসনে নগর যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মাহমুদ, প্রয়াত সংসদ সদস্য ডা. আফছারুল আমীনের ছেলে ফয়সাল আমীন, চট্টগ্রাম-১৫ আসনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানে এমএ মোতালেব, ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমানের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। এরমধ্যে দিদারুল আলম ছাড়া সকল প্রার্থীই এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর ও তথ্যের গড়মিলের কারণে মনোনয়নপত্র বাতিল হয়ে যায়। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র বাতিলে অন্তত ৬টি আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা কিছুটা র্নিভার হয়েছেন। তারপরও ৬টি আসনে শক্ত বিদ্রোহী প্রার্থী রয়েছেন।
১৬ আসনের মধ্যে চারটিতে তিন মন্ত্রী ও দলের শক্তিশালী প্রার্থী নির্ভার ছিলেন। তাদের আসনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থী মনোননয়ন জমা দেননি। তারা হলেন, চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) আসনের দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) আসনে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ। চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনে শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী।