চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের ৯টি আসনে সহিংসতার শঙ্কা

চট্টগ্রামের ১৬ সংসদীয় আসনের মধ্যে ৯ আসনে সংঘাতের আশঙ্কা করছেন ভোটাররা। এসব আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের বিপরীতে শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন। বেশিরভাগ স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগের। এর মধ্যে একজন বর্তমান সংসদ-সদস্যও রয়েছেন। ইতোমধ্যে এসব আসনে কয়েক দফা নির্বাচনি সংঘাত হামলা ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। নির্বাচনপূর্ব সহিংসতার ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছে। এরপর থেকে ভোটারদের মাঝে ভয়-আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। পাশাপাশি এসব আসনে অতিরিক্ত নজরদারি করা হচ্ছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বিএনপি-জামায়াত ভোটের মাঠে না থাকায় কিছু কিছু আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র। যেসব আসনে ভোটের দিন সংঘাতের আশঙ্কা করা হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই), চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-হালিশহর), চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা), চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া), চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া আংশিক) এবং চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী)। ইতোধ্যে চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই), চট্টগ্রাম-৩ স্বন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া), চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ), চট্টগ্রাম-১৫ (লোহাগাড়া-সাতকানিয়া আংশিক) ও চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে নির্বাচনি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

চট্টগ্রাম জেলার আলোচিত এসব আসনে সহিংসতা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে ভোটারদের। তবে পুলিশ কর্মকর্তারাও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ভৌগলিক অবস্থান এবং ‘প্রভাবশালী প্রার্থীর’ বাসাবাড়ি বিবেচনায় নিয়ে এসব আসনকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসাবে চিহ্নিত কেন্দ্রে থাকবে তাদের বাড়তি নজর।

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই), চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি), চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ), চট্টগ্রাম-১০ (খুলশী, পাহাড়তলী, হালিশহর) ও চট্টগ্রাম-১১ (পতেঙ্গা-বন্দর) আসনের নৌকার প্রার্থীর সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর রেষারেষি ক্রমশ বাড়ছে। তাতে মূল প্রতিদ্বন্দ্বী দুই প্রার্থীর মধ্যে নির্বাচনের দিন সংঘাতের আশঙ্কা করছেন ভোটারা। চট্টগ্রাম-৩ আসন (সন্দ্বীপ) আসনে নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের একাধিকবার নির্বাচনি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। পালটাপালটি অভিযোগের মধ্যে মামলা হয়েছে চারটি। ২০০৮ সালে নবম সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেছিলেন চিকিৎসক নেতা জামাল উদ্দিন চৌধুরী। মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন মাহফুজুর রহমান মিতা। সেবার জয় পান বিএনপির মোস্তফা কামাল পাশা। এবার নৌকার প্রার্থী মিতা আর স্বতন্ত্র জামাল উদ্দিন চৌধুরী। নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকরা অনেকটা মুখোমুখি অবস্থানে। এ কারণে ভোটাররা অনেকটা ভয়ের মধ্যে রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *