চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে এখনও জমেনি পশুরহাট

এক সপ্তাহেরও কম সময় পর কোরবানির ঈদ। তবে বন্দরনগরীর গরুর হাট দেখে তা বুঝার উপায় নেই। আনুষ্ঠানিকভাবে পশু বেচাকেনা শুরুর তিনদিন পেরিয়ে গেলেও এখনও ক্রেতা-বিক্রেতা কম হাটে। তবে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পশু আসছে বন্দরনগরে।

গতকাল নগরীর বিবিরহাট পশুর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাঁশের তৈরি কাঠামোর কিছু অংশে ত্রিপল টানানো বাকি এখনও। তবে শ্রমিকরা কাজ করছেন। হাটে ক্রেতা বিক্রেতার খুব বেশি ভিড়ও দেখা না গেলেও একের পর এক পশুবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দেখা গেছে।

কোরবানির কয়েকদিন আগে হাট জমে উঠবে বলে আশা ইজারাদারদের। নূর নগর হাউজিং সোসাইটি পশুর হাটের পরিচালক মো. রফিক বলেন, এখনও বিক্রি কম হচ্ছে। তবে আমরা আশা করছি বুধ-বৃহস্পতিবার থেকে হাট জমে উঠবে।

এবার নগরে ৭টি অস্থায়ী ও তিনটি স্থায়ী হাটে বসেছে কোরবানির পশুর হাট। এর বাইরে জেলার ১৫ উপজেলায় বসবে আরও দুই শতাধিক হাট।

জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের তথ্যানুযায়ী, এবার সব মিলিয়ে ৮ লাখ ৮৫ হাজার ৭৬৫ টি কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে চট্টগ্রামে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি ৭৯ হাজার ৬৩৮ টি পশুর চাহিদা রয়েছে সন্দ্বীপ উপজেলায়। সবচেয়ে কম ১৩ হাজার ৬৯৮ টি পশুর চাহিদা রয়েছে নগরীর কোতোয়ালী থানা এলাকায়। এবার চট্টগ্রামে কোরবানির ঈদ ঘিরে প্রস্তুত করা হয়েছে সব মিলিয়ে ৮ লাখ ৫২ হাজার ৩৫১ টি পশু। সেই হিসেবে ৩৩ হাজার ৪০৬ টি পশুর ঘাটতি রয়েছে এবার। তবে বন্দরনগরীর হাটে আশেপাশের জেলা ও উত্তরবঙ্গ থেকে খামারিরা চট্টগ্রামে পশু বিক্রির জন্য নিয়ে আসায় সেই ঘাটতি পূরণ হয়ে যাবে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *