চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে টিকার সংকট, হুমকির মুখে শিশু স্বাস্থ্য সুরক্ষা

চট্টগ্রামে এক মাস ধরে শিশুদের জীবনরক্ষাকারী তিন ধরনের টিকার সংকট দেখা দিয়েছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে আড়াই লাখ শিশুর স্বাস্থ্য সুরক্ষা। ফলে চরম উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন অভিভাবকরা। তবে স্বাস্থ্য বিভাগের দাবি, অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে এসব বিদেশি টিকার সরবরাহ ব্যাহত হয়। শিগগিরই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার আশা তাদের।

শিশুদের মারাত্মক ডিপথেরিয়া, হুপিং কফ ও ধনুষ্টংকারের প্রতিরোধে পেন্টাভ্যালেন্ট, নিউমোনিয়া প্রতিরোধে পিসিভি এবং পোলিও প্রতিরোধে দেওয়া হয় আইপিভি টিকা। শুন্য থেকে ১০ মাস বয়সী শিশুর জীবন রক্ষায় প্রয়োজন এসব প্রতিষেধক। কিন্তু চট্টগ্রামে অন্তত একমাস ধরে কোনো টিকাদানকেন্দ্র, স্বাস্থ্যকেন্দ্র বা হাসপাতালে মিলছে না এসব বিনামূল্যের টিকা।

অভিভাবকদের অভিযোগ, এ পরিস্থিতিতে উদ্বেগের পাশাপাশি বেড়েছে দুর্ভোগ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে টিকা সরবরাহ কমে গেছে। চট্টগ্রামের পাশাপাশি অন্যান্য জায়গায়ও টিকার সংকট দেখা দিয়েছে।

চিকিৎসকেরা বলছেন, সময়মতো এসব টিকা না দিলে নবজাতক ও শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ব্যাহত হতে পারে। এতে সামান্য ভাইরাসেই আক্রান্তের শঙ্কাও রয়েছে শিশুদের।

চট্টগ্রাম মা ও শিশু জেনারেল হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মিশু তালুকদার বলেন, ‘যে শিশুদের বয়স ৩ থেকে ছয় মাস তাদের এবং যাদের টিকা নেওয়া বাদ পড়ে গেছে তাদের অবশ্যই স্বাস্থ্য ঝুঁকি রয়েছে। তবে আগামী এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে পর্যাপ্ত টিকা সরবরাহ নিশ্চিতের চেষ্টা করা হচ্ছে।’

চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী জানিয়েছেন, গেল জুন মাসে চট্টগ্রামে এসেছে ২০ হাজার ডোজ টিকা। তবে জুলাইয়ে কোনো সরবরাহ না আসায় চাহিদা মেটানো যায়নি।

স্বাস্থ্যবিভাগের তথ্যমতে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও উপজেলায় বছরে চাহিদা ২ লাখ ৬৭ হাজার ৪৩ ডোজ টিকার। আর মাসে দরকার ২১ হাজার ৪২১ ডোজ। বেসরকারিভাবে প্রতি ডোজের দাম টাকা ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *