চট্টগ্রামে মোটরসাইকেল চোর চক্রের ৬ সদস্য গ্রেফতার
চক্রের নাম “প্রিপেইড সিন্ডিকেট”। চক্রটিতে বেশ কয়েকজন সক্রিয় সদস্য রয়েছে। তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল রং যন্ত্রাংশ পরিবর্তন করে নতুন মোটরসাইকেল হিসাবে বিক্রি করে।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল চোর চক্রের এরকম ৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
শুক্রবার (৭ জুন) থানা সূত্রে নিশ্চিত করা হয়, চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ সময় ৪টি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মোটরসাইকেল, ৩টি মাস্টার কী উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোঃ আবিদ হোসেন শ্রাবন (২০), মোঃ আজিজুর রহমান (২৪), মোঃ রাফি (৩১), মোঃ আব্দুল্লাহ আল আবেদ প্রকাশ তুহিন (২৪), মোঃ শাহাদাত হোসেন প্রকাশ খোকা (২৭) ও মোঃ জমির হোসেন (২০)।
থানা সূত্রে জানা যায়, আসামি আজিজ বিগত ৮ মাস পূর্বে একটি অপহরণ মামলার ঘটনায় জেল হাজতে যাওয়ার পর আসামি মোঃ আবিদ হোসেন শ্রাবনের সাথে তার জেল হাজতে সখ্যতা গড়ে উঠে।
সে আবিদ হোসেন শ্রাবনের কাছ থেকে তার বিভিন্ন মোটরসাইকেল চুরির ঘটনার বর্ণনা শুনে আবিদ হোসেন শ্রাবনকে জেল হাজত থেকে জামিন করানোসহ যাবতীয় সকল ব্যবস্থার দায়িত্ব সে নেওয়ার প্রস্তাব দেয় এবং বিনিময়ে আবিদ হোসেন শ্রাবন তাকে জামিনে বের হওয়ার পর যত মোটরসাইকেল চুরি করবে সবগুলো মোটরসাইকেল আজিজের নিকট সাপ্লাই দিবে বলে।
এক পর্যায়ে আবিদ হোসেন শ্রাবন আজিজের প্রস্তাবে রাজি হয়। আজিজ ২ মাস পূর্বে জেল হাজত হতে জামিনে বের হয়ে আসামি শ্রাবনকে জামিনের যাবতীয় ব্যবস্থা করেন এবং ১০/১২ দিন পূর্বে আসামি শ্রাবনের জামিন করায়।
জামিনের যাবতীয় খরচ আজিজ বহন করে এবং জেল হাজত হতে বের হওয়ার দিন শ্রাবনকে এডভান্স মানি হিসেবে ১০ হাজার টাকা দেয়।
এরপর হতে শ্রাবন চট্টগ্রাম মহানগরসহ আশপাশ এলাকায় মোটরসাইকেল চুরি শুরু করে। এই ১০/১২ দিনে শ্রাবন কোতোয়ালী থানা এলাকাসহ চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন এলাকা হতে ৪টি মোটরসাইকেল চুরি করে আজিজ ও তার বন্ধু রাফির কাছে হস্তান্তর করে।
রাফি চোরাই বাইক কেনা-বেচার লাভের অংশ থেকে বাইক প্রতি ৫ হাজার টাকা নেয় এবং শ্রাবনকে আজিজের দেওয়া সমস্ত খরচ বহন করে। প্রত্যেকটি মোটরসাইকেল হস্তান্তরের সময় দামের পাশাপাশি কিছু টাকা পরবর্তী মোটরসাইকেল পাওয়ার জন্য আজিজ শ্রাবনকে এডভান্স মানি হিসেবে দেয়।
আজিজ এবং রাফি শ্রাবন থেকে মোটরসাইকেল নেওয়ার পর তুহিনের মারফত রাঙ্গুনিয়া থানা এলাকার খোকার নিকট পাঠায়। খোকা প্রতি বাইকে ১০ হাজার টাকা লাভ ধরে জমিরের নিকট বিক্রয় করে। জমির মোটরসাইকেল গুলো লিগ্যাল মোটরসাইকেল বলে স্থানীয়দের নিকট বাজার মূল্যে বিক্রয় করে।
কোতোয়ালী থানার ওসি এস এম ওবায়েদুল হক জানান, বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। আমাদের এরকম অভিযান অব্যাহত রয়েছে।