চট্টগ্রামে ১৩ থানায় সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু
চট্টগ্রামে ১৩টি থানা সীমিত পরিসরে কার্যক্রম শুরু করেছে, যার মধ্যে ১১টি শহরের মধ্যে এবং ২টি জেলার অন্তর্গত। পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রবিবারের মধ্যে চট্টগ্রাম শহর ও জেলার সকল থানা তাদের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করবে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ জানিয়েছেন, সিএমপির ১১টি থানা সীমিত আকারে কার্যক্রম শুরু করেছে। এই থানাগুলো হলো – চান্দগাঁও, বায়েজিদ বোস্তামী, খুলশী, পাঁচলাইশ, সদরঘাট, চকবাজার, বাকলিয়া, পাহাড়তলী, আকবরশাহ, কর্ণফুলী ও বন্দর থানা।
তিনি আরও জানান, শনিবার থেকে হালিশহর, ডবলমুরিং ও কোতয়ালি থানা সীমিত পরিসরে নিজস্ব ভবন বা ভবনের সামনে থেকে কার্যক্রম শুরু হবে। ইপিজেড থানার কার্যক্রম পরিচালিত হবে নিউমুরিং ফাঁড়ি থেকে। পতেঙ্গা থানার জন্য নতুন ভবন খোঁজা হচ্ছে।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এসএম শফিউল্লাহ জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম জেলায় মোট ১৭টি থানা রয়েছে। এর মধ্যে পটিয়া এবং চন্দনাইশ থানা ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে। বাকি থানাগুলোর কার্যক্রম শুরুর প্রস্তুতি চলছে। কিছু থানা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় সেগুলো মেরামতের প্রয়োজন রয়েছে। পুলিশ সদস্যদের কিছু দাবি-দাওয়া থাকায় সবাই এখনো কাজে যোগ দিতে পারেননি, তবে সীমিত পরিসরে থানার কার্যক্রম শুরু করা হচ্ছে।
চট্টগ্রামে মোট ৩৩টি থানা রয়েছে, যার মধ্যে ১৭টি জেলায় এবং ১৬টি নগরীতে অবস্থিত।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ওইদিন বিকালে নগরী ও জেলার বিভিন্ন থানা, ফাঁড়ি, ক্যাম্প এবং পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে এবং অস্ত্র-গোলাবারুদ লুট হয়। এর ফলে নগরী ও জেলার সকল থানার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।