চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ৩ ঘণ্টায় ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টি, নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে টানা বৃষ্টিপাত হচ্ছে চট্টগ্রামে। এতে নগরের বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তিতে পড়েছেন জরুরি প্রয়োজনে বের হওয়া লোকজন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নগরের আগ্রাবাদ, হালিশহর, ওয়াসা মোড়, জিইসি, ২ নম্বর গেট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, চকবাজার, কাতালগঞ্জ, বাকলিয়া ও কোতোয়ালি থানার বিভিন্ন এলাকা হাঁটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, চট্টগ্রামে সকাল ৬টা থেকে ৯টা পর্যন্ত মোট ৩ ঘণ্টায় ১৩২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। মাঝারি থেকে ভারী, অতিভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এদিকে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। একারণে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ করে যাচ্ছে জেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৮ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ (দশ) নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ০৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদুরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝোড়ো হাওয়াসহ ভারী (৪৪-৮৮ মিমি/২৪ ঘণ্টা) থেকে অতি ভারী (≥৮৯ মিমি/২৪ ঘণ্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হলো।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চীদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *