চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রুটে দুর্ভোগের ট্রেনযাত্রা
একেতো ৬ কোচের এক জোড়া ট্রেন মাত্র। তার উপর বেশিরভাগ সময় বিকল থাকে ইঞ্জিন। এমন দুর্ভোগের পাল্লায় পড়তে হচ্ছে চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রেলপথের যাত্রীদের।
যাত্রীরা বলছেন, ব্যাপক যাত্রী চাহিদা থাকার পরেও রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম-নাজিরহাট রুটকে গুরুত্ব দিচ্ছেনা। নানান অজুহাতে বেশকিছু ট্রেন সরিয়ে নেওয়ার পর একমাত্র ডেমু ট্রেনটির ত্রুটি সারাতেও গড়িয়মসি করছে।
রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দাবি, লোকবল সংকটের কারণে ট্রেন বাড়ানো যাচ্ছেনা। এ ছাড়া ডেমুর যন্ত্রাংশ সংকটই ত্রুটি সারাতে দেরি হওয়ার প্রধান সমস্যা।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম ষ্টেশন থেকে সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটে একটি লোকাল ট্রেন ও এর পরের দিন ভোর ৬ টায় নগরের উদ্দেশ্য নাজিরহাট কমিউটার সার্ভিস চালু আছে। তবে গত ১১ দিন ধরে সেটিও বন্ধ।
চট্টগ্রাম নাজিরহাট থেকে দৈনিক মুরাদপুর এলাকায় চাকরি করতে আসেন নাজিম উদ্দিন। তিনি বলেন, যোগাযোগ সুবিধা থাকার কারণে শহর থেকে গ্রামে চলে যাই। কিন্তু গত ১১ দিনের ট্রেন সার্ভিস কমে যাওয়ার কারণে যাতায়াত খরচ বেশি হচ্ছে। আমাদের নাজিরহাট থেকে প্রতিদিন হাজারখানেক মানুষ যাতায়াত করে। অনেকেই চাকুরিজীবী। কর্তৃপক্ষের উচিত ট্রেন সেবা বাড়ানো।
চট্টগ্রাম নাজিরহাট ট্রেন যাত্রী কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. শওকত হাসান চৌধুরী সিভয়েসকে বলেন, প্রায় সময় নানান কারণ দেখিয়ে লোকাল ট্রেন বন্ধ করে দেয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। অথচ গত এক বছরে এই পথে টিকেট বিক্রি হয়েছে প্রায় ৭০ লাখ টাকার।চট্টগ্রাম রেলওয়ে বিভাগ লাখ লাখ টাকা আয় করার পরেও আমাদের ট্রেন সার্ভিস উন্নত করছে না।
লোকবল সংকটের কারণে নাজিরহাট রুটে রেল সেবা বাড়ানো যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ের ডেপুটি ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে ট্রেনে বিভিন্ন নাশকতার কারণে পাইলট ইঞ্জিন ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। চট্টগ্রাম-ঢাকা ও কক্সবাজার রেল পথে বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রী নিয়ে যাওয়ার আগে একটি করে ইঞ্জিন পাঠানো হচ্ছে। ফলে চাহিদা থাকলেও ট্রেন সার্ভিস বাড়ানো যাচ্ছে না।