চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেনার জট কমাতে বিকল্প ব্যবস্থা
ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কন্টেনার আনা-নেওয়া বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম বন্দরে মোট ১ হাজার ৮৫৬টি কনটেইনার আটকে আছে। এ সব কন্টেনার জট কমাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পাশাপাশি পানগাঁও কাস্টম হাউসের বন্দর থেকে খালাসের বিশেষ অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চত করেছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পরিচালক (জনসংযোগ) সৈয়দ এ মুমেন মোমেন।
চট্টগ্রাম বন্দরে অস্বাভাবিক কনটেইনার জট কমাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের পাশাপাশি বিকল্প হিসেবে পানগাঁও কাস্টম হাউসের বন্দর থেকে পণ্য খালাসের বিশেষ অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআর বলছে, এমন সিদ্ধান্তের ফলে চলমান কন্টেনার জট দ্রুতই নিরসন করা সম্ভব হবে এবং পরিস্থিতির দ্রুত উন্নতি হবে। উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং এ থেকে উত্তরণে এ ধরনের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ উৎপাদনমুখী শিল্প থেকে শুরু করে সব পর্যায়ে সরবারহ চেইনকে নিরবচ্ছিন্ন রাখা সম্ভব হবে।
সৈয়দ এ মুমেন বলেন, সাম্প্রতি ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পরবর্তী সময়ে দেশব্যাপী রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এর ফলে রেলযোগে ঢাকা আইসিডির ঘোষণায় আমদানি কন্টেইনারগুলো চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ঢাকা আইসিডিতে আনা বন্ধ হয়ে যায়। তবে জাহাজ থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেনার অবতরণ কার্যক্রম সম্পূর্ণ সচল থাকায় চট্টগ্রাম বন্দর প্রান্তে এই বিপুল সংখ্যক ঢাকা আইসিডিগামী কন্টেনার জমে যায়।
এই অবস্থায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আমদানি পণ্য বা কার্গো ঘোষণা সংশোধনের মাধ্যমে ঢাকা আইসিডির পরিবর্তে চট্টগ্রাম বন্দর বা পানগাঁও আইসিটি হতে ডেলিভারি দেওয়ার অনুমতির জন্য অনুরোধ জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় আমদানি করা মোট ১ হাজার ৮৫৬টি কনটেইনার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস ও পানগাঁও আইসিডি/কাস্টম হাউস এর যেকোনো বন্দর থেকে খালাসের অনুমতি দেয়।