চট্টগ্রামবন্দর

চট্টগ্রাম বন্দরে আগামী সপ্তাহ থেকে লাইটার জাহাজের নতুন সিরিয়াল

চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে মাদার ভেসেল থেকে পণ্য খালাসে লাইটারেজ জাহাজ বুকিং বিষয়ে চলমান বিরোধ নিষ্পত্তিসহ এ খাতের অস্থিতিশীলতা নিরসন ও শৃঙ্খলা আনার লক্ষ্যে গ্রহণযোগ্য এবং সমন্বিত বুকিং ব্যবস্থা চালুকরণের বিষয়ে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) বিকেলে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের বঙ্গবন্ধু কনফারেন্স হলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চিটাগাং চেম্বার প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজের সভাপতিত্বে সভায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম. আবদুল লতিফ, ওয়াটার ট্রান্সপোর্ট সেলের কনভেনর মো. নুরুল হক, জাহাজ মালিক ও সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

মেয়র বলেন, দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দর চট্টগ্রাম বন্দর দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সঙ্গে ও সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। কোনো স্বার্থান্বেষীমহল এই সুনাম অক্ষুণ্ন করুক তা আমরা চাই না। বন্দরের বহির্নোঙরে পণ্য খালাসে জাহাজের সিরিয়াল অনুযায়ী ও নিয়মমাফিক হতে হবে, যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।

তিনি বলেন, একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠীর কারণে এই সেক্টরে নানা বিশৃঙ্খলা তৈরি হচ্ছে। ফলে অনেক জাহাজ মালিক অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। আমরা এ ধরনের কর্মকাণ্ড চাই না।

সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফ বলেন, গত ১৫ বছর ধরে এই আসনে চট্টগ্রাম বন্দরসহ ২৩টি জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার কার্যক্রম একদিনের জন্যও কেউ বাধাগ্রস্ত করতে পারেনি। এখন নতুন করে অনেকেই নৌ-পরিবহন সেক্টরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টির মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের দীর্ঘদিনের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার পাঁয়তারা করছে। সরকার অর্থনীতির গেটওয়ে তথা বন্দর সচল রাখার ব্যাপারে সোচ্চার এবং কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে থাকেন মর্মে তিনি সভায় উল্লেখ করেন।

নৌ-বাণিজ্য অধিদপ্তরের প্রিন্সিপাল অফিসার ক্যাপ্টেন সাব্বির মাহমুদ বলেন, কমিটি গঠনের পূর্বে সব পক্ষকে নিয়ে সভা করেছি আমরা। উক্ত সভার আলোকে সব সমস্যা সমাধানে নতুন কমিটি আগামী সপ্তাহ থেকে কাজ শুরু করবে। এখন থেকে জাহাজ বুকিংয়ের সময় নির্ধারিত ৬০ শতাংশ এবং পণ্য খালাসের আগে বাকি ৪০ শতাংশ ফি দিতে হবে। এছাড়াও বিবদমান বিভিন্ন সমস্যা আপস মীমাংসার মাধ্যমে নিরসন সম্ভব না হলে তা আরবিট্রেশনের মাধ্যমে সমাধান করা হবে এবং ন্যায্য পাওনা আদায়ে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

চিটাগাং চেম্বার সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর ও পণ্য পরিবহন নিয়ে এ ধরণের জিম্মিদশা তৈরি করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। বিষয়টি নিয়ে শুরু থেকে চিটাগাং চেম্বার আমদানিকারক, সাধারণ ব্যবসায়ী এবং দ্রব্যমূল্যের বিষয়টি বিবেচনা করে সোচ্চার ছিল।

তিনি সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিতের লক্ষ্যে নৌ-পরিবহন কর্তৃক গঠিত কমিটিতে এফবিসিসিআই এবং চিটাগাং চেম্বারের একজন প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্তিকরণের আহবান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *