চট্টগ্রামবন্দর

চট্টগ্রাম বন্দর : কমেছে জাহাজের অপেক্ষা, বেড়েছে কনটেইনার চাপ

বন্যার কারণে কয়েকদিন আগে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে পণ্যবাহী যান চলাচল স্থবির হয়ে যায়। তাতে চট্টগ্রাম বন্দরে কনটেইনারের চাপ ও বহির্নোঙরে পণ্যবাহী জাহাজের অপেক্ষামাণ তালিকা দীর্ঘ হলেও পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। মহাসড়কে পানি কমে যাওয়ায় যান চলাচল শুরু হলেও সড়কের বেহাল দশার কারণে গাড়ি চলছে অনেকটা কচ্ছপ গতিতে। এতে বন্দর থেকে কনটেইনার চাপ খুব একটা কমেনি, বরং বেড়েছে। তবে স্বস্তির খবর হল বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি পণ্য নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে অপেক্ষায় থাকা জাহাজের সংখ্যা কমেছে।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গতকাল চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে অপেক্ষামাণ জাহাজ ছিল ১১। এরমধ্যে ক্রেনযুক্ত জাহাজ সংখ্যা ৩ এবং ক্রেনবিহীন জাহাজ ৮। ২৫ আগস্ট অপেক্ষামাণ জাহাজ ছিল ১২ এবং ২২ আগস্ট অপেক্ষামাণ ছিল ১৬টি।

অপরদিকে ২৭ আগস্ট চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরে থাকা কনটেইনারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৮ হাজার ৯৯৭ টিইইউএস। যা সোমবার (২৬ আগস্ট) ছিল ৩৭ হাজার ৯৯৬ টিইইউএস। এই সংখ্যা গত শুক্রবার (২৩ আগস্ট) ছিল ৩৬ হাজার ৬৪২ টিইইউএস।

বন্দরের তথ্য অনুসারে, বর্তমানে বন্দরের জেটিতে ১৬ কনটেইনারবাহী জাহাজের পণ্য খালাসের কাজ চলমান রয়েছে। এসব জাহাজে তিন হাজার ৬৭৪ টিইইউএস আমদানি কনটেইনার রয়েছে। অর্থাৎ ওই কনটেইনারগুলো বন্দরের ইয়ার্ডে নামানো হলে চট্টগ্রাম বন্দরের অভ্যন্তরের কনটেইনার সংখ্যা ৪১ হাজার ছাড়িয়ে যাবে। একই সঙ্গে রপ্তানি পণ্যের কনটেইনার কমে যাওয়ায় ওই সংখ্যায় খুব একটা প্রভাব ফেলবে না।

বন্দর পরিস্থিতি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমান কনটেইনার ধারণক্ষমতা সাড়ে ৫৩ হাজারের বেশি। আর বন্দরের অভ্যন্তরে আছে ৩৯ হাজারের কাছাকাছি। অর্থাৎ প্রায় ১৪ হাজার একক কনটেইনারের জায়গা এখনও খালি রয়েছে। যদিও আমাদের ক্রেন ও গাড়ি চলাচলের জন্য সক্ষমতার পুরোপুরি কনটেইনার ইয়ার্ডে রাখা হয় না। তারপরও ১৪ হাজার একক কনটেইনারের জায়গা কম নয়। তাছাড়া বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় ধীর গতিতে হলেও ঢাকাগামী কনটেইনার ডেলিভারি বেড়েছে। পাশাপাশি আমরা নৌপথে ঢাকায় কনটেইনার নেওয়ার জন্য আমদানি-রপ্তানিকারকদের জানিয়েছি। ফলে আশা করা যায় পরিস্থিতি দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *