চট্টগ্রাম : শতবর্ষী গাছ বাঁচানোর উদ্যোগ
চট্টগ্রাম : কংক্রিট দিয়ে মুড়ে দিলে গাছের গোড়ায় বৃষ্টির পানি ও বাতাস চলাচল করতে পারে না। বেশি দিন বাঁচতে পারে না গাছও। এ কারণে নগরীর পাহাড়তলী আমবাগানে সড়ক প্রশস্ত করার সময় গোড়া কংক্রিটে ঢেকে যাওয়া ৩৫টি প্রায় শতবর্ষী গাছ বাঁচাতে ভিন্নধর্মী এক উদ্যোগ বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গোড়া থেকে কংক্রিট কেটে মুক্ত করা হচ্ছে এসব গাছের শিকড়।
গতকাল শনিবার সকালে ‘মুক্তির গান’ নামে কর্মসূচির মাধ্যমে গাছের গোড়ার কংক্রিট অপসারণের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক সহায়তায় গ্রিন ফিঙ্গারস নামে একটি সংগঠন এই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। গাছের গোড়া থেকে কংক্রিট অপসারণ শুরুর পাশাপাশি এদিন পাহাড়তলীর রাসেল পার্কে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির গাছ পরিচিতি এবং পরিবেশ বিষয়ক মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন- চট্টগ্রাম চক্ষু হাসপাতালের ম্যানেজিং ট্রাস্টি প্রফেসর ডা. রবিউল হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. মাহফুজুর রহমান, প্রফেসর শফিক হায়দার, শিল্পী মইনুল আলম, প্রফেসর ইমতিয়াজ খান, প্রফেসর কবি শুক্লা ইফতেখার, চলচ্চিত্র পরিচালক আসমা বীথি, টিবিএস চট্টগ্রামের ব্যুরো চিফ শামসুদ্দিন ইলিয়াস, পরিবেশ কর্মী মনিরা পারভীন, আলিউর রহমান, হাসান মারুফ রুমী, মোয়াজ্জেম রিয়াদ প্রমুখ।
প্রফেসর ডা. রবিউল হোসেন ফিঙ্গারস’র এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, রাস্তার পাশে থাকা গাছের গোড়া নেটিং পদ্ধতিতে ঢেকে দিলে গাছে পানি ও বাতাস চলাচল করতে পারবে। ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর প্রজন্ম এখনো আছে দেখে ভীষণ উজ্জীবিত হচ্ছি। শিল্পী মইনুল আলম বলেন, উদ্যোগ নিয়ে এক জায়গায় থেমে গেলে হবে না, এই কাজের ধারাবাহিক গতি থাকতে হবে।
প্রফেসর শফিক হায়দার বলেন, স্কুলের বাচ্চাদের নিয়ে কাজ করতে হবে। প্রজন্ম গড়ে তুলতে হবে। ডা. মনজুরুল করিম বলেন, এটা সবে শুরু, এই কাজ সারাদেশে ছড়িয়ে দিতে চাই।