চট্টগ্রাম-১৫ আসনে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, সহিংসতার শংকায় স্থানীয়রা
জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে চট্টগ্রামে যে কয়টি আসন সহিংসতাপ্রবণ, উত্তপ্ত; তার একটি চট্টগ্রাম-১৫ সাতকানিয়া-লোহাগাড়া। এখানে তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে নৌকা আর স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে। প্রচারণার শুরু থেকেই দুই প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে সংঘাত, পাল্টাপাল্টি অভিযোগে উত্তপ্ত আসনটি। ক্যাম্পে হামলা, গাড়ি ভাঙচুর, সমর্থকদের ভয়ভীতি প্রদর্শন সহ নানা ঘটনা ঘটেছে এই আসনে।
এখানে মূলত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর মধ্যে। নৌকার প্রার্থী দুইবারের সংসদ সদস্য আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। এবারও জিতে আসতে এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন তিনি।
চট্টগ্রাম-১৫ আসনের নৌকার প্রার্থী ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী বলেন, জনগণ আমাদেরকে মহাব্বত করে, ভালোবাসে; যেহেতু আমরা তাদের সেবা করেছি। আমরা আশা করছি, জনগণ নৌকা মার্কায় ভোট দিবে, ইনশাল্লাহ। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে যাচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবও। ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান। এবার সংসদ সদস্য হতে চান এই আওয়ামী লীগ নেতা। তার অভিযোগ, ভোটের মাঠে সংঘাত বাধাচ্ছেন বর্তমান এমপি।
চট্টগ্রাম-১৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মোতালেব বলেন, আমাদের প্রচারণা অফিস পুড়ে দিয়েছে। তারপর আমাদের ঘরে, একজন চেয়ারম্যানের বাড়িতে গুলি করা হয়েছে, গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। তারপরও আমরা এর প্রতিশোধ নিচ্ছি না। কেননা, আমরা চাই সুষ্ঠু ভোট। দুই হেভিওয়েট প্রার্থী ছাড়াও আরও পাঁচজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে নির্বাচনে। নিজেদের অবস্থান জানান দিতে প্রচারণা চালাচ্ছেন তারাও।
প্রার্থী ও সমর্থকদের উত্তেজনা উত্তাপ ছড়াচ্ছে ভোটের মাঠে। তাই সহিংসতার শংকায় স্থানীয়রা। তারা বলছে, কোনো দলেই যেন মারামারি না হয়। কোন হইচই, আতঙ্ক যেন না হয় সেই নির্বাচন আশা করেন তারা। এছাড়া নির্বাচন যদি সুষ্ঠু হয় তাহলে ভোট দিতে যাবেন। নইলে মারামারি বা কাটাকাটি হলে ভোট দিতে যাবেন না তারা। এ আসনে কেন্দ্রের সংখ্যা ১শ ৫৭ টি। ভোটার সংখ্যা চার লাখ ৫৮ হাজার চারশ ১১ জন।