চট্টগ্রামচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চবিতে আইন অমান্য করে শিক্ষক নিয়োগের প্রতিবাদ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়: প্রশাসনিক অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষক সমিতির পূর্বঘোষিত আন্দোলনের প্রথমদিন দেখা যায় এক ভিন্ন চিত্র। যেখানে একপাশে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আয়োজনে গানবাজনায় উদযাপন করা হচ্ছিল ‘গণতন্ত্রের বিজয়. অপরদিকে তার পাশেই উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষক সমিতি নেতৃবৃন্দ পালন করছিল অবস্থান কর্মসূচি।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিক্ষক সমিতি অবস্থান কর্মসূচি শুরুর পর বক্তব্য দেওয়ার ঠিক আগমুহূর্তে প্রশাসনের উদ্যোগে শুরু হয় সংগীতানুষ্ঠান। এ সময় শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ কোনো ধরনের বক্তব্য ছাড়াই অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

দুপুর ১টার দিকে প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত সংগীতানুষ্ঠান শেষ হওয়ার পর শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হকের সঞ্চালনায় সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে আপোষ করার জন্য তিনি চায়ের দাওয়াত দিয়েছেন। অথচ রেজিস্ট্রারকে দিয়ে তিনি আবার খুবই অপমানজনক একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছেন। উপাচার্য আমাদের সঙ্গে সমঝোতার আমন্ত্রণ জানিয়েছিল কিন্তু শিক্ষক সমিতি মনে করে, এ প্রশাসনের বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বে থাকার কোনো নৈতিক অধিকার নেই। আমরা এমন নজির কখনো দেখিনি যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অমান্য করে আলাদা সিন্ডিকেট গঠন করে প্রশাসন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়।

এর আগে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে’র পদত্যাগের দাবিতে টানা তিনদিনের অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেয় শিক্ষক সমিতি। আগামী ১৬ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে এ আন্দোলন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *