চট্টগ্রামচট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

চবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মিথ্যা দাবি

চট্টগ্রাম: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা বিভিন্ন অভিযোগ মিথ্যা দাবি করেছেন। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমে প্রতিবাদ জানান সহযোগী অধ্যাপক পদের দায়িত্ব পালন করা সুলতানা সুকন্যা বাশার।

গত ১ জানুয়ারি ‘২০২৩ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত যত ঘটনা’ শিরোনামে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম-এ একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এই সংবাদে ‘নকল করে বহিষ্কার, তথ্য গোপন করে শিক্ষক, পদোন্নতি নিয়ে প্রশ্ন’ উপ শিরোনামে শিক্ষক সুকন্যা বাশারের বিষয়টি উল্লেখ্য করা হয়। তবে এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করেছেন তিনি।

প্রতিবাদে তিনি উল্লেখ করেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো কোর্সেই অসদুপায় অবলম্বনের দায়ে বহিষ্কৃত হননি তিনি। দাবি করেন, নকলের ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়া হলে অবশ্যই চবি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দফতর থেকে জেনে নিতে পারতেন। যতক্ষণ পর্যন্ত একজন শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিবদ্ধ পর্ষদ কর্তৃক ‘বহিস্কৃত’ ঘোষিত না হবেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তাকে দোষী সাব্যস্ত করার কোনো এখতিয়ার কারও নেই।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, শিক্ষক হওয়ার সময় তথ্য গোপনের খবরটি না জেনে, না বুঝে তথ্য প্রচার করা হয়েছে। আমার সঙ্গে যোগাযোগ না করে, আমার মন্তব্য না নিয়ে এবং নথি বিশ্লেষণ ও যাচাই-বাছাই না করে সংবাদ প্রকাশ করায় আমি সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। পদোন্নতি নিয়ে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে তিনি আপত্তি জানান প্রতিবাদ লিপিতে।

প্রতিবেদকের বক্তব্য: ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি বাংলানিউজে প্রকাশিত সংবাদটিতে ২০২৩ সালজুড়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত সব ঘটনার সারমর্ম তুলে ধরা হয়েছে। যেহেতু এটি কোনো নতুন সংবাদ পরিবেশন সংক্রান্ত প্রতিবেদন নয়, তাই প্রতিটি আলোচিত ঘটনার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য নেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। অতীতেও সালতামামির প্রতিবেদনগুলো এভাবেই পরিবেশন করা হয়েছে। এছাড়া ‘নকল করে বহিষ্কার, তথ্য গোপন করে শিক্ষক, পদোন্নতি নিয়েও প্রশ্ন’ এ অংশে যে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে, সেসব বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যের রেকর্ডিং বাংলানিউজের প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষণ রয়েছে। নিয়োগের আবেদনপত্রে তথ্য গোপনেরও প্রমাণ রয়েছে। এমনকি এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশের পর ওই শিক্ষক বিভাগের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে প্রভাষক নিয়োগের আবেদনপত্রের মূল কপির জেরোক্স সংগ্রহের জন্য ইতোমধ্যে রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করেছেন। শুধু তাই নয়, ৪০৮ নম্বর কোর্সে নকল করে ধরা পড়ার বিষয়ে ওইদিন শ্রেণিকক্ষে উপস্থিত থাকা বেশ কয়েকজন সহপাঠীর বক্তব্যে তা নিশ্চিত হওয়া গেছে। সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য প্রমাণস্বরূপ সংরক্ষণ করা হয়েছে।

পাশাপাশি গত ৩১ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪৫তম সিন্ডিকেট সভায় পদোন্নতি বোর্ডের অসন্তোষ থাকায় শিক্ষক সুকন্যা বাশারকে শর্তসাপেক্ষে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। যার ডকুমেন্ট সংরক্ষণ করা হয়েছে। এছাড়া পদোন্নতি বোর্ডের একজন সদস্য সুকন্যা বাশার ‘কিভাবে শিক্ষক হলেন’, এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সেই কল রেকর্ডিংও বাংলানিউজ সংরক্ষণ করেছে। সর্বোপরি বাংলানিউজে প্রকাশিত সংবাদের এ অংশটি প্রতিবেদকের মনগড়া কোনো বক্তব্য নয়। এটি ২০২৩ সালের আলোচিত সংবাদগুলোর মধ্যে অন্যতম। যা সংক্ষেপে সালতামামির মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *