চলচ্চিত্রের ১৯ সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৯ সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হচ্ছেন প্রযোজক আরশাদ আদনান (প্রস্তাবিত)। মঙ্গলবার (৪ জুন) এফডিসির কাজী জহির রায়হান মিলাতয়নে সিনেপ্লেক্সের দূর্নীতি নিয়ে ১৯ সংগঠনের এক সভায় এমনটি নিশ্চিত করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক প্রযোজক খোরশেদ আলম খসরু। সেখানে সবার সম্মতি চাইলে এই সংগঠনের সবাই হাত তুলে সমর্থন জানান।
প্রযোজক খসরু বলেন, আমাদের চলচ্চিত্রের সকল সুবিধা-অসুবিধায় মহামান্য রাষ্ট্রপতির ছেলে ও প্রযোজক আরশাদ আদনানকে কাছে পাই। তাই আমরা এই সিদ্ধান্ত (প্রস্তাবিত) নিয়েছি। কয়েকদিনের মধ্যে অফিসিয়াল মিটিং করে তাকে এই ১৯ সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিবেন।
খসরু বলেন, আমাদের সিনেমা চালাতে স্টার সিনেপ্লেক্সের এতো অনিহা কেন? যেখানে বিদেশি ছবিতে তারা ৬৫ শতাংশ শেয়ার মানি দেন। সেখানে আমাদের দেশীয় চলচ্চিত্রে কেন ৪৫ শতাংশ দিবেন। প্রয়োজনে আমাদের সিনেমা আর সিনেপ্লেক্সে মুক্তি দিব না। আমাদের সিনেমা যদি তাদের সিনেপ্লেক্সে না চলে তাহলে কেন মাসের পর মাস ‘প্রিয়তমা’, ‘পরাণ’, ‘হাওয়া’র মতো ছবি চালালো? তাদের সরকারি লাইসেন্স এ বলা আছে বিদেশি ছবি চলবে ১৫ শতাংশ। সেখানে আমাদের মাত্র ১ টি ছবি চালায় বাকী সারা মাস বিদেশি আর ইংলিশ ছবি চালান তারা। দেশীয় ছবি তাও আবার ১ টি শো দিয়ে বসে থাকেন৷ সেটিও সকাল ১১ টায়। যেখানে পিক টাইম সন্ধ্যা ৭:৩০ মিনিট।
এরপর তারা যা করে প্রতিটি টিকিটে ১২০ টাকা এসি বাবদ কেটে রাখেন। এরপর ক্লিন চার্জ। ৪৫০ টাকার টিকিটে আমাদের দেয়া হয় মাত্র ৪৫ টাকা! এটা কেন? একজনের এসিতে সর্বোচ্চ ৩ টাকা আসার কথা সেখানে তারা ১২০ টাকা মাথাপিছু নিচ্ছেন! যেখানে এসি একবার কিনেছেন আর ভাড়া নিচ্ছেন বছরের পর বছর! আসলে তাদের ওখানে ব্যবসা কি? সেটি আমরা দেখতে চাই।
তিনি আরও বলেন, স্টার সিনেপ্লেক্স সিনেমা মুক্তির আগে প্রচারণা তো করেই না, ছবি লাগিয়ে তাদের আর হদিস পাওয়া যায় না। ম্যানেজার ফোন ধরেন না। এগুলো আসলে আমাদের হয়রানি করছেন। এসব দূর্নীতির বিরুদ্ধে আরও কঠোর অবস্থান নেয়ার হুঁশিয়ারি জানান দেন এই প্রযোজক।
অনুষ্ঠানে প্রযোজক আরশাদ আদনান ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, পরিচালক ও বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, প্রযোজক আলিমুল্লাহ খোকন, পরিচালক শাহ আলম কিরণ, এডিটর দেবুসহ চিত্রগ্রাহক সমিতির সভাপতি আব্দুল লতিফ বাচ্চু।