চাকরি দেওয়ার নামে অসামাজিক কাজ করাতো ওরা
নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার রুপনগর আবাসিক এলাকা থেকে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে অসামাজিক কাজে বাধ্য করানোর অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছেন দুই নারীকে।
বুধবার (১ মে) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে আবাসিকের ১ নম্বর গলির কাপ ভবনের ৬ষ্ঠ তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন—বাঁশখালী উপজেলার কালিপুর গ্রামের দেওয়ান আলী মাঝির বাড়ির মৃত দেলোয়ার হোসেনের ছেলে আরাফাতুল ইসলাম (৩০), রাউজান উপজেলার আরাফাতুল ইসলামের স্ত্রী ফারজানা বেগম (৩০), কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানার মগনামা মৌলার পাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে আবু ওমর (৩২) এবং কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানার মগনামা ফতইল্যার পাড়া গ্রামের মৃত মো. কালুর ছেলে মো. আনসার (৩৫)।
পুলিশ জানিয়েছে, একজন ভিকটিম গত ১৯ এপ্রিল চাকরির খোঁজে বহদ্দারহাট গেলে আসামি আরাফাতুলের সাথে পরিচয় হয় তার। ভিকটিমকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে সে রুপনগর আবাসিক এলাকার ওই ফ্ল্যাটে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় আসামি ফারজানার সাথে। এরপর প্রতিনিয়ত যৌন নিপীড়ন চালানো হয় তার ওপর।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন, চাকরির ফাঁদ পেতেই তারা এভাবে অসহায় নারীদের সেখানে নিয়ে যেতো এবং জোরপূর্বক অসামাজিক কাজ করাতো।’
‘আরাফাতুলের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় ২০১৮ সালে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের একটি এবং পাঁচলাইশ থানায় মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে ২০২০ সালের একটি মামলা রয়েছে। এছাড়া আরেক আসামি ফারজানার বিরুদ্ধে চকবাজার থানার মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে একটি মামলা আছে। গ্রেপ্তার চারজনের বিরুদ্ধেই নতুন করে মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।— যোগ করেন ওসি।