চট্টগ্রাম

চান্দগাঁওয়ে তালার লক কেটে চুরি: গ্রেপ্তার দুই

চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে তালার লক কেটে চুরির অভিযোগে চোর চক্রের মূল হোতাসহ ২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ১ ভরি স্বর্ণ, চোরাই কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি ও ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

বুধবার (১৫ মে) বিকালে কোতোয়ালী থানার সিআরবি এলাকা থেকে আব্দুল্লাহ আল হৃদয় ওরফে রিফাতকে (২২) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চান্দগাঁও থানার মেহেরাজখান চৌধুরী ঘাটা এলাকা থেকে অপর আসামী মো. কামাল হোসাইন মুন্নাকে (২৪) রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চলতি বছরের ১৯ মার্চ ভোর ৬ টা থেকে বিকাল ৫ টার মধ্যবর্তী সময়ে অজ্ঞাতনামা চোর শর্মীষ্ঠা বড়ুয়ার চান্দগাঁও আবাসিক এলাকা, এ-ব্লক, রোড নং-১, বাসা নং-৭, ২য় তলার বাসায় মেইন দরজার তালা কেটে স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও প্রাইজবন্ড চুরি করে। এ ঘটনায় শর্মীষ্ঠা বড়ুয়ার এজাহারের ভিত্তিতে চাঁন্দগাও থানার মামলা দায়ের করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার এসআই মো. মোমিনুল হাসান সঙ্গীয় ফোর্সের সহযোগিতায় ঘটনাস্থল ও আশপাশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করে ঘটনার সাথে জড়িত আসামী রবিনকে ১৯ এপ্রিল গ্রেপ্তার করা করে।  গ্রেপ্তার আসামী এবং অন্যান্য আসামীদের নামসহ বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে চান্দগাঁওয়ের মেহেরাজখান চৌধুরী ঘাটা এলাকা থেকে অপর আসামী মো. কামাল হোসাইন মুন্নাকে (২৪) রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামী মো. কামাল হোসাইন মুন্নার কাছ থেকে মামলার ঘটনায় চুরি হওয়া স্বর্ণের ১টি গলিত পাজা/বার, যার ওজন অনুমান ১ ভরি, চোরাইকাজে ব্যবহৃত ১টি লোহার তৈরি কাটার, ১টি প্লাস এবং ৫০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তার আসামী আব্দুল্লাহ আল হৃদয় ওরফে রিফাত ও মো. কামাল হোসাইন মুন্নার বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে একাধিক চুরির মামলা ও মাদক মামলা বিচারাধীন রয়েছে। চুরির মালামাল উদ্ধারের সাথে মাদকদ্রব্য উদ্ধার হওয়ায় মাদকদ্রব্য উদ্ধার সংক্রান্তে এসআই মো. মোমিনুল হাসান চান্দগাঁও থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের পৃথক একটি নিয়মিত মামলার এজাহার দায়ের করিলে মাদক মামলা দায়ের হয়।

অপরাধের কৌশল
আসামীরা পেশাদার অপরাধী। তারা ভবঘুরে হয়ে চট্টগ্রাম মহানগরের বিভিন্ন থানা এলাকায় দিনের বেলা ও রাতের বেলা ঘুরাফেরা করে। তারা বিভিন্ন বাড়ির দিকে নজর রাখে। কোন ঘরে আলো না থাকলে তারা মনে করে সে বাসার লোকজন নেই। আবার বিভিন্ন বাসা বাড়ীতে সিঁড়ি দিয়ে উঠে দেখে তালা দেওয়া আছে কিনা। তালা দেওয়া থাকলে তারা সে বাসাকে টার্গেট করে কাটার দিয়ে তালা কেটে সময়মত চুরি সংঘটন করে। আবার কোন বাড়িতে দারোয়ান না থাকলে সুযোগ বুঝে বিল্ডিংয়ে উঠে যে বাসায় তালা দেওয়া থাকে সে বাসার দরজায় তাদের কাছে থাকা লোহার কাটার ও প্লাস দিয়ে তালা ভেঙ্গে বাসায় প্রবেশ করে বাসার ভিতরে থাকা স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও মূল্যবান জিনিসপত্র চুরি করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *