আনোয়ারাচট্টগ্রাম

চামড়ার গাড়ি আটকে চাঁদা দাবির অভিযোগ এসআইয়ের বিরুদ্ধে

আনোয়ারা উপজেলা এলাকায় চামড়াবাহী একটি পিকআপ ভ্যান থেকে পুলিশের এক উপ-পরিদর্শকের (এসআই) বিরুদ্ধে চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (১৭ জুন) দিবাগত রাত ১টার দিকে উপজেলার চৌমুহনী মোড়ের পাশে কালাবিবির দিঘী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে পিকআপ ভ্যানটিকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

চামড়াগুলোর মালিক দক্ষিণ চরতী মজিদিয়া দাখিল মাদরাসা কমিটির অনুরোধে রাত ৩টার দিকে চামড়াবাহী পিকআপটিকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রায় কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখায় চামড়াগুলো অনেকটা পচে গিয়েছে। এতে করে নামমাত্র মূল্যে চামড়াগুলো বিক্রি করতে হয়েছে।
গাড়িচালক হাবিবুর রহমান বলেন, সাতকানিয়া থেকে চামড়া নিয়ে রওনা হওয়ার পর কোথাও কোন বাধার সম্মুখীন হয়নি। কিন্তু আনোয়ারা চৌমুহনী মোড়ের পাশে কালাবিবির দিঘী এলাকায় আসতেই আমাদের গাড়ি সংকেত দেন কয়েকজন পুলিশ সদস্য। পরে আমরা গাড়ি থামিয়ে বিস্তারিত বুঝিয়ে বলি।

তিনি আরও বলেন, কিন্তু থানার এসআই হোসেন ইবনে নাঈম ভুঁইয়া আমার থেকে দুই লাখ টাকা দাবি করে বসেন। না হলে চামড়া পাচার আইনে মামলা দেওয়ার হুমকি দেন। আমি বিষয়টি মাদরাসা কমিটিকে জানাই। এরপর স্যারদের সঙ্গে মাদরাসা কমিটির লোকজন কথা বলেন। এসআই কমিটির লোকজনকে থানায় যেতে বলেন এবং আমার গাড়িটিকে থানায় নিয়ে যান। এরপর কমিটির লোকজনের ওসি মহোদয়ের কথা হলে রাত ৩টার দিকে গাড়িটি ছেড়ে দেওয়া হয়।

মাদরাসা কমিটির সদস্য ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, মানিক মিয়া নামে আতুরার ডিপোর একজন আড়তদারের সঙ্গে প্রতিটি চামড়া ৩০০ টাকা করে দরদাম ঠিক হয়। এরপর মাদরাসা পক্ষ থেকে সংগ্রহ করা চামড়াগুলো পিকআপযোগে আড়তে পাঠানো হচ্ছিল। গাড়িটি আনোয়ারা থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা আটকে দুই লাখ টাকা দাবি করেন। পরে আমরা ওসিকে বলে গাড়িটি ছাড়িয়ে নেই। কয়েক ঘণ্টা দেরি হওয়ায় চামড়াগুলো অনেকটা পচে গেছে। একই সঙ্গে ততক্ষণে আড়তদারও চলে গেছেন। এ কারণে চামড়াগুলো মাত্র ৫০ টাকা দরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, পুলিশের কারণে মাদরাসার বড় ক্ষতি হয়ে গেল। আমরা অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তি দাবি করছি।

আনোয়ারা থানার উপ পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) হোসেন ইবনে নাঈম ভুঁইয়া বলেন, গাড়িটি আমরা ঢাকায় যাচ্ছে মনে করে আটক করেছিলাম। থানায় নিয়ে যাওয়ার পর ওসি স্যারসহ কথা বলে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো টাকা আমরা দাবি করিনি।

এব্যাপারে জানতে আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোহেল আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *