চট্টগ্রাম

চালকদের থেকে চাঁদা আদায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভ

চট্টগ্রাম অটো টেম্পু শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. জাহেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. জানে আলমের চাঁদা আদায়ের বিরুদ্ধে ধর্মঘট ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে চালকেরা।

সোমবার (১৯ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ ধর্মঘট পালন করেন তারা।

নগরের শাহ আমানত সেতু এলাকা থেকে টাইগারপাস মোড় পর্যন্ত অটো টেম্পুর ১৭নং রুটে চালকদের ধর্মঘটের ফলে বন্ধ ছিল টেম্পু চলাচল।
আন্দোলনরত চালকরা জানান, আমাদের সংগঠনের সভাপতি মো. জাহেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. জানে আলম দুজনেই যাত্রী নির্যাতন, ভাড়া নৈরাজ্যকারী ও পেশাদার চাঁদাবাজ।

তারা শ্রমিকদের কল্যাণ তো দূরের কথা, উল্টো শ্রমিকদের কাছ থেকে দীর্ঘদিন ধরে শোষণ ও অর্থ আত্মসাৎ করে আসছে। চট্টগ্রাম অটো টেম্পো শ্রমিক ইউনিয়নের নির্বাচনবিহীন নেতৃত্ব দখল করেছে তারা কয়েকজন। নির্বাচন দিলেও তাদের মনোনীত ব্যক্তিরা সেখানে স্থান পায়। কেউ স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করতে চাইলে, তাকে হুমকি-ধমকি, নির্যাতন ও মামলা দিয়ে শারিরীক ও মানসিকভাবে হয়রানি করে আসছে। এমনকি তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মেট্রো আরটিসির অনুমোদিত ১৭নং অটো টেম্পো রুটে চালকদের পরিচয়পত্র বাবদ ১০ হাজার টাকা কর্মকালীন সময়ে নতুন ব্রিজ, কোতোয়ালী মোড়, জি.পি.ওসহ বিভিন্ন এলাকায় দৈনিক ২৮০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে আসছে। সেখানে পারমিটবিহীন অটোটেম্পো ভর্তি ফি ৭০ হাজার টাকা এবং অনুমোদিত অটোটেম্পো ভর্তি ফি ৫০ হাজার টাকা অবৈধভাবে আদায় করেন। একইভাবে প্রতিমাসে চালকদের কাছ থেকে মাসিক এক হাজার টাকা চাঁদা আদায় করতেন এ দুইজন। চাঁদা প্রদানে অস্বীকৃতি জানালে মারধর, মামলা, হয়রানি থেকে রেহায় পেতেন না কেউ। এমন ভূক্তভোগীও আছেন অনেকে।
তারা আরও বলেন, শুধু টেম্পো নয়, চার চাকা বিশিষ্ট লেগুনা থেকে দৈনিক ১০০০ টাকা চাঁদা আদায় এবং নিয়ম অমান্যকারী ভিআইপি গাড়ির নামে দৈনিক ১০০০ টাকা আদায় করতেন তারা।

ধর্মঘট ও বিক্ষোভে উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন, চালক মো. আনোয়ার হোসেন, মনির হোসেন, মো. সোহেল, মো. শুক্কুর, মো. তৌহিদ, মো. রাব্বি, মো. ছগির, আবদুর রহিম, মো. মামুন প্রমূখ।

এদিকে সোমবার মনির হোসেন নামে এক চালক জানে আলমসহ ১৪ জনের নাম দিয়ে বাকলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সে মামলায় আরও ১৫/২০ জনকে আসামি করা হয়।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব বলেন, চালকদের মারধর ও চাঁদাবাজি সংক্রান্ত ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। বিষয়টি আমরা দেখছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *