চাল-তেল-চিনি-খেজুরের আমদানি শুল্ক কমিয়ে প্রজ্ঞাপ
আসন্ন রমজান উপলক্ষ্যে চাল, চিনি, তেল ও খেজুরের ওপর শুল্ক কর কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম স্বাক্ষরিত পৃথক চারটি প্রজ্ঞাপনে বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানানো হয়।
তাতে এসব পণ্যের দাম কমবে, আর ভোক্তারা সুবিধা পাবেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল হক টিটু। এজন্য আমদানিকারকদের দ্রুত পণ্য খালাসের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, চাল আমদানির ক্ষেত্রে বিদ্যমান শুল্ক কর ৬২.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫.২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এর মধ্যে সম্পূরক শুল্কই কমানো হয়েছে ২০ শতাংশ। যা বয়েল ও নন-বয়েল চাল আমদানির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। তবে চাল আমদানির আগে রেয়াতি হারে প্রত্যেক চালানের জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ন্যূনতম যুগ্মসচিব পদমর্যাদার কর্মকর্তা থেকে লিখিত অনুমোদন নিতে হবে। আর এই সুবিধা আগামী ১৫ মে পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
পরিশোধিত ও অপরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পাম অয়েলের ওপর প্রযোজ্য কর (ভ্যাট) ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছে। যা বলবৎ থাকবে আগামী ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত।
চিনির ক্ষেত্রে শুল্ক প্রতি মেট্রিক টনে দেড় হাজার টাকা থেকে কমিয়ে এক হাজার টাকা করা হয়েছে। এই সুবিধা ৩১ মার্চ পর্যন্ত কার্যকর থাকবে।
আর খেজুর আমদানিতে শুল্ক কর ৫৮ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪৩ শতাংশ করা হয়েছে। যার মধ্যে আমদানি শুল্ক কমানো হয়েছে ১০ শতাংশ। এটি আগামী ৩০ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
এর আগে, গত ২৯ জানুয়ারি মন্ত্রিসভার বৈঠকে রমজান উপলক্ষ্যে ভোজ্যতেল, চিনি, খেজুর ও চালের ওপর শুল্ক কমানোর নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোজায় যেন এসব পণ্যের সরবরাহ কম না হয়, সে কথাও বলেন তিনি।
তার আগে, গত ২২ জানুয়ারি এই চার পণ্যের ওপর শুল্ক কর ছাড় দিতে এনবিআরে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।