চাষাবাদ সহজ করতে যন্ত্রের ব্যবহার বাড়াচ্ছে সরকার
ধানের দাম ঠিক করার জন্য আগামী দুদিন পর খাদ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে আমাদের সভা হবে। কৃষক যাতে তাদের সারা বছরের কষ্টার্জিত ধানের সঠিক দাম পায়, সেদিকেও নজর রাখব আমরা। আমরা চাই কৃষকরা যাতে ধান চাষে উৎসাহিত হয়। সে বিষয়টি মাথায় রেখেই ধানের দাম ঠিক করা হবে। সারাদেশে এ বছর খাদ্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২ কোটি ২২ লাখ মেট্রিক টন। এমনকি দেশের কৃষকদের বাঁচানোর জন্য যা কিছু দরকার সরকার তার সবটাই করবে।
গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামসংলগ্ন দেখার হাওরে বোরো ধান কর্তন উৎসব শেষে কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, এখানে জেলায় যে কর্মকর্তারা আছেন, তাদেরও বলব ধানের দামে মধ্যস্বত্বভোগী কেউ যাতে কোনো ধরনের সুবিধা নিতে না পারে। কৃষকরা যাতে সঠিক দামে ধান বেচতে পারে, তার দিকে খেয়াল রাখতে হবে। হাওরাঞ্চলের কৃষকরা ধান বেচায় কোনো সিন্ডিকেটের কবলে না পড়ে, এ বিষয়টির ওপর ইউপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানদেরও বিশেষভাবে নজর রাখতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, সুনামগঞ্জ দেশের একটি ঝুঁকিপূর্ণ হাওর এলাকা, আমরা বিগত সময়ে দেখেছি, হাওরের বন্যার কারণে পুরো জেলার বোরো ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। মানুষের ঘরে খাবারের জন্য কিছুই ছিল না। বন্যা মোকাবিলা করে আমরা যাতে ফসল উৎপাদন চালিয়ে যেতে পারি সে লক্ষ্যেই কাজ করব। আমি সিলেট অঞ্চলের মানুষ, আমি হাওরের মানুষের দুঃখ বুঝি।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ আরো বলেন, আমার মন্ত্রণালয়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিনজন এমপি আসেন, তাদের এলাকার জন্য মেশিন নেয়াসহ বিভিন্ন কাজে। আমি সব সময় আন্তরিকভাবে চেষ্টা করি তাদের সেবা দেয়ার জন্য। কিন্তু আমাদেরও অনেক সীমাবদ্ধতা আছে, সেটি নিয়েই কাজ করছি। চাষাবাদ সহজ করতে সরকার কৃষি খাতে যন্ত্র ব্যবহারে ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।
এ সময় তিনি আরো বলেন, আপনারা যারা স্থানীয় লোকজন আছেন, আমাদের পরামর্শ দেবেন, কর্মকর্তাদের জানাবেন। যাচাই-বাছাই করে দেখব, পরামর্শগুলো বাস্তাবায়ন করা যায় কিনা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সুনামগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ড. মোহাম্মদ সাদিক, সুনামগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য রনজিত চন্দ্র সরকার, জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নোমান বখত পলিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ এহসান শাহ্, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় কৃষকরাসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।