আন্তর্জাতিক

চিকিৎসককে ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় ভারতে তীব্র হচ্ছে বিক্ষোভ

পশ্চিমবঙ্গে এক নারী শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার পর উত্তাল গোটা ভারত। একটি হাসপাতালে ভাঙচুরের পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ আরও তীব্র হয়েছে।

নির্মম এ ঘটনার বিরুদ্ধে কলকাতায় রাত দখলের বিশাল কর্মসূচি চলাকালে বুধবার হাসপাতালটি ভাঙচুরের শিকার হয়। পুনে, মুম্বাই, হায়দরাবাদ ও দিল্লির মতো শহরগুলোতে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিক্ষোভ হয়েছে।

দেশটির চিকিৎসকদের সবচেয়ে বড় সংগঠন শনিবার ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) দেশব্যাপী অ-জরুরি পরিষেবার ধর্মঘট ডেকেছে।

পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন শহর ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলে থাকা চিকিৎসকদের সংগঠন শুক্রবারসহ সপ্তাহের ছুটির দিনজুড়ে পদযাত্রা করার পরিকল্পনা করেছে।

বুধবার রাত দখল কর্মসূচিতে হাজার হাজার নারী অংশ নেন। তারা কর্মসূচি থেকে মুক্তভাবে ও ভয়হীনভাবে বাঁচার স্বাধীনতা চান।

যদিও বিক্ষোভটি মূলত শান্তিপূর্ণ ছিল, তবে পুলিশ ও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের একটি ছোট দলের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়, যারা আর জি কর হাসপাতালে প্রবেশ করে অপরাধের স্থান এবং এর জরুরি ওয়ার্ডে ভাঙচুর করে করে।

অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে লোকজনকে লাঠি দিয়ে শয্যা ও অন্যান্য সরঞ্জাম ভাঙচুর করতে দেখা যায়।

বিক্ষোভকারীরা বিবিসিকে বলেন, কিছু চিকিৎসক ও হাসপাতালের কর্মীরা হামলায় আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে কিছু পুলিশের গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করা হয়।

এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে কলকাতা পুলিশ এ পর্যন্ত ১৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। বৃহস্পতিবার আইএমএ এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলে, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আক্রমণাত্মক আচরণ হয়েছে। সংগঠনটি শনিবার সকাল থেকে ২৪ ঘণ্টা অ-জরুরি পরিষেবা প্রত্যাহারের ডাক দিয়েছে।

এক বিবৃতিতে আইএমএ বলছে, চিকিৎসক, পেশার প্রকৃতির কারণে চিকিৎসক, বিশেষ করে নারীরা সহিংসতার শিকার হন। কর্তৃপক্ষকে হাসপাতাল ও ক্যাম্পাসের ভেতরে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা দিতে হবে।

চিকিৎসকদের শীর্ষ আরেক সংগঠন ফেডারেশন অব রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (ফ্রোডা) পুনরায় অবরোধ ডেকেছে।

এ ঘটনায় পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর একটি অন্যটিকে দোষ দেওয়ার খেলায়ও নেমেছে। ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেস পার্টিকে হামলার জন্য দায়ী করেছে।

টিএমসি এ অভিযোগ অস্বীকার করে রাজনৈতিক বহিরাগতদের অপর দোষ চাপিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *