চিকিৎসক পেল চমেকের শিশু ক্যান্সার বিভাগ
দেড় মাস শূন্য থাকার পর দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের শিশু হেমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলজি বিভাগে পদায়ন করেছে মন্ত্রণালয়।
তাঁরা হলেন— ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. এস এম রেজানুর রহমান এবং স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. মো. ইমরান হাবীব। তবে এরমধ্যে ডা. মো. ইমরান হাবীবকে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে চমেকের পেডিয়াট্রিক হেমাটোলজি ও অনকোলজি বিভাগের চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সারমিন সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়। তাদেরকে আগামী সাত কর্মদিবসের মধ্যে চমেকের শিশু ক্যান্সার বিভাগে যোগদান করতে বলা হয়েছে। নতুবা অষ্টম কর্মদিবসে বর্তমান কর্মস্থল থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হবেন বলে গণ্য করা হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। সে হিসেবে ঈদের ছুটির পর পরিপূর্ণভাবে দুই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে পাবেন চমেকে চিকিৎসা সেবা নেওয়া ক্যান্সার আক্রান্ত শত শিশু রোগী।
এছাড়াও, চমেকে চলতি দায়িত্বে পদায়ন পাওয়া চিকিৎসককে (ডা. মো. ইমরান হাবীব) কর্মকালীন সময়ের জন্য এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এসময় তিনি অন্য কোথাও বদলি হতে পারবেন না। তবে মূল পদে (সহকারী রেজিস্ট্রার) বদলি হতে পারবেন বলে মন্ত্রণালয়ের এ প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, চমেকের শিশু হেমাটোলজি অ্যান্ড অনকোলজি বিভাগের একমাত্র বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছিলেন অধ্যাপক ডা. এ কে এম রেজাউল করিম। তিনি টানা ১০ বছর একাই সামলেছেন শিশু ক্যান্সার রোগীদের। গত ২৮ এপ্রিল অবসরোত্তর ছুটিতে চলে যান এ চিকিৎসক। তাঁর অবসরের পরে গত দেড় মাস ধরে একরকম ‘জোড়াতালি’ দিয়ে চিকিৎসা চলছিল বিভাগটিতে।
প্রসঙ্গত, চমেকের বিশেষায়িত এ বিভাগটিতে ১৮ ভর্তি শিশু রোগী ছাড়াও যাওয়া আসা করে চিকিৎসা নেয় ক্যান্সারে আক্রান্ত আরো ২৫০ শিশু। শিশু ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডা. এ কে এম রেজাউল করিমের তত্ত্বাবধানে এ পর্যন্ত ১ হাজার ২৪৪ জন ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু চিকিৎসা নিয়েছেন চমেকে।