চট্টগ্রামশিক্ষা

চুয়েটের শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর হস্তান্তর

রাউজানের চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর হস্তান্তর করা হয়েছে। বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে চুক্তি স্বাক্ষর করেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরউল্লাহ ও চুয়েটের পক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।

বুধবার (৩ জুলাই) সকালে চুয়েটের শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরউল্লাহ্। বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ, শিফট প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ জহুরুল ইসলাম।

সভাপতিত্ব করেন শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক।
জিএসএম জাফর উল্লাহ বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়-ভিত্তিক বিজনেস ইনকিউবেটর ধারণাটি আমাদের দেশে নতুন। যে কারণে শুরুর দিকে আমাদের একটু বেগ পেতে হয়েছে। চুয়েটের শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর ভারতের আইআইটি হায়দারাবাদ ও সিলিকন ভ্যালির মডেলে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির একটা কার্যকর সেতুবন্ধন তৈরি করতে এ ধরনের বিজনেস ইনকিউবেটর একটি সময়োপযোগী পদক্ষেপ। আশা করছি, আমরা অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে শিগগির এই বিজনেস ইনকিউবেটরের সফলতা দেখতে পাবো।

ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের যে অঙ্গীকার, তা বাস্তবায়নে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের মতো অবকাঠামো অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। আগামীর তরুণ প্রজন্মের মেধা, বুদ্ধি ও জ্ঞানের বিকাশকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর। বিশ্বের স্বনামধন্য বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের বিজনেস ইনকিউবেটর থাকলেও বাংলাদেশে এটাই প্রথম। এখানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের আইডিয়াগুলো বাস্তবায়ন এবং একজন উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে উঠতে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ-অবকাঠামো সহায়তা দেওয়া হবে। সরকারের ড্রিম প্রজেক্ট হিসেবে বিবেচিত শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের মাধ্যমে ইন্ডাস্ট্রি এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে একটা সেতুবন্ধন তৈরি হবে।

অনুষ্ঠানের শুরুতে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শিফট প্রকল্পের আওতায় সাইবার সিকিউরিটি ল্যাব ও স্টুডেন্ট টু স্টার্ট-আপ ভেঞ্চারস কর্তৃক স্থাপিত স্মার্ট বাংলাদেশ লঞ্চপ্যাডের কনটেন্ট ল্যাব উদ্বোধন করেন। এ ছাড়া স্মার্ট বাংলাদেশ লঞ্চপ্যাডের অংশগ্রহণকারী স্টার্টআপদের জন্য স্টার্টআপ ফাইন্যান্সের ওপর ‘মাস্টারক্লাস স্টার্ট আপ ফাইন্যান্স’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ, সাইবার সিকিউরিটি প্রশিক্ষণ, BDSET প্রকল্পের আওতাধীন AI ভিত্তিক প্রশিক্ষণ, EDGE প্রকল্পের আওতাধীন একাধিক প্রশিক্ষণ পরিদর্শন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুর ও পরিবেশ কৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সুদীপ কুমার পাল, তড়িৎ ও কম্পিউটার প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামসুল আরেফিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এএইচ রাশেদুল হোসেন, মেকানিক্যাল অ্যান্ড ম্যানুফ্যাকচারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কাজী আফজালুর রহমান, স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ রাশিদুল হাসান ও রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির, হাই টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের উপ-সচিব মোহাম্মদ মোখতার আহমেদ, উপ-পরিচালক প্রকৌশলী নরোত্তম পাল, দে টেম্পেট লিমিটেডের সহ – প্রতিষ্ঠাতা মোহসেনা খানম।

এর আগে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ২০৪১ বিনির্মাণে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিতকরণ’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সভার প্যানেলিস্ট ছিলেন বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিএসএম জাফরউল্লাহ, চুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামাল উদ্দীন আহাম্মদ ও শিফট প্রকল্পের পরিচালক সৈয়দ জহুরুল ইসলাম। মডারেটর ছিলেন শেখ কামাল আইটি বিজনেস ইনকিউবেটরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মশিউল হক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *