দেশজুড়ে

চুরির ভিডিও ধারণ করায় খুন করা হয়েছিল গৃহবধূকে

ফেনী: জেলার দাগনভূঞা উপজেলার জায়লস্কর ইউনিয়নের আলোচিত গৃহবধূ পারুল আক্তার (৫০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। চুরি করতে গেলে ভিডিও করায় খুন করা হয় গৃহবধূ পারুলকে। আদালতে ১৬৪ ধারায় এমন জবানবন্দি দিয়েছেন গ্রেপ্তার এক আসামি।

গ্রেফতাররা হচ্ছেন- লক্ষীপুরের টুমচর এলাকার বাদশার বাপের বাড়ির মঈন উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেন (২০)। তিনি বেশ কিছুদিন যাবৎ ফেনী সদর উপজেলার মাথিয়ারা জেলে বাড়ির প্রবাসী তারেকের বাসায় থাকতেন। অপর আসামিরা হচ্ছেন- ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের মাথিয়ারা আফজল মিস্ত্রি বাড়ির সেলিমের ছেলে ইহাব হোসেন শুভ (২০) ও ঘটনাস্থল সংলগ্ন উত্তর বারাহীগুনী এলাকার সিরাজ মিয়ার ছেলে আব্দুল আউয়াল প্রকাশ সাদ্দাম (৩৬)। দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসিম এসব তথ্য জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ৩ আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

পুলিশ জানায়,রোববার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে ফেনী সদর উপজেলার মাথিয়ারা জেলে বাড়ি থেকে মোবারক হোসেন এ ঘটনায় আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। এক পর্যায়ে ওই যুবক ঘটনার বিস্তারিত পুলিশকে জানালে পুলিশ তাকে আদালতে সোপর্দ করে। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হলে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিতে তিনি ঘটনার বিবরণ দেন। ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি স্বীকার করে আরও ২ জনের নাম জানান।

মোবারক হোসেন বলেন, ওই রাতে তারা ৩ জন পারুলের ঘরে চুরি করতে প্রবেশ করে। বিষয়টি টের পেয়ে পারুল তার মোবাইল ফোনে ভিডিও করতে থাকেন। বিষয়টি দেখে মোবারকসহ তার সঙ্গীরা ওই নারীর হাত থেকে মোবাইল ফোনটি ছিনিয়ে নিতে জোরজবরদস্তি শুরু করেন। ফোনটি নিতে না পেরে ওই নারীর মাথায় আঘাত করে চোরের দল। এতে ওই নারীর মৃত্যু হলে তারা পালিয়ে যায়। পুলিশ সোমবার মোবারকের স্বীকারোক্তি মোতাবেক বাকি ২ আসামিকেও গ্রেপ্তার করেছে।

গত ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে উত্তর বারাহীগুনী সামছুল হক ভূঞা বাড়িতে নিজ ঘর থেকে গৃহবধূ পারুল আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত পারুল ওই বাড়ির প্রবাসী আতাউর রহমানের স্ত্রী ও জায়লস্কর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল মতিন চৌধুরীর ছোট বোন। এ ঘটনায় ১৪ ডিসেম্বর অজ্ঞাতদের আসামি করে থানায় মামলা রেকর্ড হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *