চোরাই পথে গরু প্রবেশ ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে সরকার
আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সীমান্ত দিয়ে চোরাই পথে অবৈধভাবে কোনো গরু যেন দেশে ঢুকতে না পারে সে বিষয়টি খুব কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
রোববার (২ জুন) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি সায়েন্স বিভাগে ‘বিশ্ব দুগ্ধ দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা জানান।
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যানিমেল সায়েন্স অ্যান্ড ভেটেরিনারি মেডিসিন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. কে বি এম সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ-৫ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) ও কৃষিবিদ নজরুল ইসলাম, উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভূঁইয়া, কোষাধ্যক্ষ ড. মো. নজরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ কৃষক লীগের সভাপতি ও কৃষিবিদ সমীর চন্দ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।
মন্ত্রী বলেন, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে কিছু দুষ্টু ও মতলববাজ লোক আমাদের দেশীয় খামারিদের নিরুৎসাহিত করার জন্য চোরাই পথে অবৈধভাবে কিছু কিছু গরু আনছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে সরকার অত্যন্ত কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং বিষয়টি নিয়ে যথোপযোগী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হবে বলেও তিনি জানান।
‘সুতরাং দেশীয় খামারিদের এ ব্যাপারে ভাবনার কোনো কারণ নেই। আসন্ন ঈদুল আজহা যাতে মুসলিম ধর্মাবলম্বীরা উৎসবের সাথে ও সুন্দরভাবে উদযাপন করতে পারে সেই ব্যাপারে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সার্বিকভাবে তত্ত্বাবধানে থাকবে।’
তিনি বলেন, দুধের উৎপাদন বাড়ালে দুধ খাওয়া বাড়বে এমনটি নয় বরং দুধ খাওয়ার প্রবণতা বাড়লেই দুধের উৎপাদন বাড়বে। কারণ চাহিদা বাড়লেই সরবরাহ বাড়ানোর বিষয়টি সামনে আসে। দুধের উৎপাদন বাড়িয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে।
গ্রামে প্রান্তিক খামারিরা দামের অভাবে অনেক সময় দুধ উৎপাদনে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, দুধের দাম কম হলেও দুধ থেকে উৎপন্ন মিষ্টির দাম অনেক বেশি। দুগ্ধ শিল্পের সাথে যারা জড়িত তারা অনেক সময় ন্যায্যমূল্য পাচ্ছেন না বলে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ পাওয়া যায়। খামারিরা যাতে তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পায় সে ব্যবস্থা আমাদের তৈরি করতে হবে।
শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজবেন্ড্রিতে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটে নিয়োগ না দেওয়ার বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে মন্ত্রী বলেন, বিষয়টি নিয়ে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব পেলে গভীরভাবে পর্যালোচনা করে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।