কক্সবাজারচট্টগ্রাম

ছাত্রদল নেতা থেকে মাদক সম্রাট

কলেজছাত্রের মুখোশ পরে মাদক ব্যবসা করে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ। মাসোয়ারা দেয়ায় অভিযানের খবর আগেই পেয়ে যান। স্থল ও আকাশ পথে রাজধানীতে ঢোকে তার ইয়াবার চালান। রোহিঙ্গাদের সমন্বয়ে তৈরি করেছেন সিন্ডিকেট

সাহাব উদ্দিন। বাড়ি কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের কলাতলী ঝিরঝিরি পাড়া এলাকায়। পরিচয় দেন কলেজছাত্র হিসেবে। তবে ছাত্রত্বের মুখোশের আড়ালে তার রয়েছে ইয়াবার রমরমা বাণিজ্য।

সম্প্রতি পাকস্থলিতে ইয়াবা এনে গণনার কিছু ছবি নিউজবাংলার হাতে এসেছে। যাতে দেখা যায়, এক সহযোগীকে নিয়ে ইয়াবা গণনা করছেন সাহাব উদ্দিন। ইয়াবার ছোট ছোট বড়িগুলো যে পাকস্থলিতে বহন করা হয়েছে, তা ছবিতে স্পষ্ট। ঠিক কত হাজার ইয়াবা তিনি বহন করেছেন- ওই চালানে তা নিশ্চিত না হলেও ধারণা করা হচ্ছে, ওই চালানে অন্তত আড়াই হাজার ইয়াবা ছিল। সেগুলো উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কিনে পাকস্থলিতে করে নিয়ে আসেন তিনি।

পুলিশ ও স্থানীয়রা বলছেন, ২০০৮ সাল থেকে ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত সাহাব উদ্দিন। পাকস্থলিতে ইয়াবা বহনের অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে তার। ফলে সহজেই ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়ে যান তিনি। যে সকল কর্মকর্তার তার এ অবৈধ ব্যবসা নজরে এসেছে তাদের নিয়মিত মাসোয়ারা দেন সাহাব উদ্দিন। যে কারণে ওইসব কর্মকর্তারা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন না। এ কারণে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে তার ইয়াবার সিন্ডিকেট। কক্সবাজার সদর উপজেলায় তার নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে ক্যাম্প-কেন্দ্রিক সিন্ডিকেট, যা এলাকার মানুষের অজানা নয়।

সাহাব উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘আমি একজন শিক্ষার্থী। আমি মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত নই। আমার সঙ্গে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’ দেখা করার কথা বললে ফোন কেটে বন্ধ করে দেন তিনি।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি (ইন্টেলিজেন্স) দুর্জয় বিশ্বাস বলেন, ‘খবর পেয়ে একাধিকবার তার আস্তানায় অভিযান চালানো হয়েছে। এখনো তার বাসার চারপাশ পুলিশ নজরদারিতে রেখেছে। যেকোনো মুহুর্তে গ্রেপ্তার হবে এই মাদক কারবারি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *