ধর্ম

জন্মাষ্টমীর উৎসব খরচ সীমিত করে বন্যার্তদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা

আগামী ২৬ আগস্ট সোমবার সনাতন ধর্মের প্রাণপুরুষ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি অর্থাৎ শুভ জন্মাষ্টমী। এ উপলক্ষে ২৮ আগস্ট পর্যন্ত দেশব্যাপী ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে উৎসব উদযাপিত হবে। তবে এবার দেশে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির কারণে উৎসবের ব্যয় সীমিত করে তা বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী হিসেবে বিতরণ করা হবে জানিয়েছেন জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ-বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ।

শনিবার (২৪ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের রহমতগঞ্জে পরিষদের প্রধান কার্যালয়ে এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার সেন। তিনি বলেন, ‘শ্রীশ্রী জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ বাংলাদেশ-কেন্দ্রীয় কমিটির আয়োজনে আগামী ২৬ থেকে (সোমবার) ২৮ আগস্ট সনাতন ধর্মের প্রাণপুরুষ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি জন্মাষ্টমী উৎসব সারাদেশব্যাপী ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হবে। এবারে উৎসবের ব্যয় সীমিত করে বন্যাদুর্গতদের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, বিভিন্ন জেলায় বস্ত্র বিতরণ, রক্তদান, অনাথ ও দুস্থদের মধ্যে খাদ্যসামগ্রী প্রদান, গীতাপাঠ, সন্ধ্যারতি, জন্মাষ্টমী পূজা ও ভোগ, দেশ ও জাতির কল্যাণে সমবেত প্রার্থনা করা হবে।’

সংবাদ সম্মেলনে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন ও জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠন, বৈষম্যমূলক সকল আইন ও অধিকার বিলুপ্ত করা, সংখ্যালঘু মন্ত্রণালয় গঠন, শারদীয় দুর্গোৎসবে ৩ দিনের ছুটি, পার্বত্য শান্তিচুক্তি ও পার্বত্য ভূমি কমিশন আইনের বাস্তবায়ন, সমতলের আদিবাসীদের জন্য পৃথক ভূমি কমিশন গঠন ও দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন, গণঅভ্যুত্থানে সনাতনী সম্প্রদায়ের নিহত ভাইবোনদের আর্থিক অনুদান ও আহতদের সরকারি খরচে চিকিৎসা সেবা প্রদান, সনাতনীদের বাড়িঘর, দোকানপাট ও মঠ-মন্দিরে হামলা, লুটপাট, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, দোষীদের বিচারের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করা এবং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে সকল সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও হত্যার বিচার করাসহ ১০ দফা দাবি জানানো হয়। ।

এ সময় জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তপন কান্তি দাশ, অ্যাডভোকেট চন্দন তালুকদার ও বিমল কান্তি দে, অধ্যাপক স্বদেশ চক্রবর্তী, লীলারাজ গৌরদাস ব্রহ্মচারী, চিন্ময় কৃষ্ণদাস ব্রহ্মচারী, গদাধর দাস ব্রহ্মচারী, মুকন্দ ভক্তিদাস ব্রহ্মচারী, রাস বিহারী কৃষ্ণ চন্দ্র দাশ, লায়ন দুলাল চন্দ্র দে, চন্দন দাশ, কৃষ্ণ কান্তি দত্ত, লায়ন আশীষ কুমার ভট্টাচার্য্য, লায়ন তপন কান্তি দাশ, প্রকৌশলী আশুতোষ দাশ, ডা. বিধান মিত্র, লায়ন শংকর সেনগুপ্ত, বাবুল ঘোষ বাবুন, শিবু প্রসাদ দত্ত, অ্যাডভোকেট সলিল কান্তি গুহ, প্রকৌশলী সুভাষ গুহ, দিপাল অনিন্দ্য পাল, আর.কে দাশ রুপু, উজ্জ্বল বরণ বিশ্বাস, এস প্রকাশ পাল, বাপ্পী দে, অ্যাডভোকেট শিপন কুমার দে, অর্জুন কুমার নাথ, সজল দত্ত, বাবলু দেবনাথ, সঞ্জীব বণিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *