চট্টগ্রাম

জলাবদ্ধতায় স্লুইস গেট নিয়ে শঙ্কা

চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পে স্লুইস গেট নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। একদিকে এখন পর্যন্ত ৪১টি স্লুইস গেটের মধ্যে ১৮টির কাজ শেষ না হওয়া, অন্যদিকে নির্মিত স্লুইস গেট পরিচালনার জন্য জনবল না থাকা; এই দুই কারণে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের সুফল নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। জোয়ারের সময় খালে পানি প্রবেশ আটকে দিতে গেট বন্ধ করে দেয়া এবং বৃষ্টির পানি দ্রুত অপসারণের উদ্দেশ্যে পাম্প বসানো হচ্ছে।

তিন সংস্থার মোট ৪১টি স্লুইস গেটের মধ্যে এখন পর্যন্ত নির্মিত হয়েছে ২৩টি। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ), বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড এবং বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড- এই তিন সংস্থা চট্টগ্রাম নগরীতে মোট ৪১টি স্লুইস গেট নির্মাণ করছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৪১টি স্লুইস গেটের মধ্যে ১৮টি স্লুইস গেট নির্মাণ করছে সিডিএ। ১৮টি স্লুইস গেটের মধ্যে ৬টি স্লুইস গেট নির্মাণের কাজ বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড। ২৩টি স্লুইস গেট নির্মাণ করছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন ব্রিগেড কর্তৃক নির্মাণাধীন ৬টি স্লুইস গেটের মধ্যে ৫টি স্লুইস গেটের নির্মাণকাজ শেষ। বাকি একটির কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলে জানান প্রকল্প পরিচালক। তবে এসব স্লুইস গেট পরিচালনায় বিভিন্ন সময় জনবল চেয়ে চিঠি দিলেও এখনও জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের লেফটেন্যান্ট কর্নেল ফেরদৌস আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ সিডিএ, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং পানি উন্নয়ন বোর্ড আলাদা আলাদা তিনটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। সব সংস্থার কাজ শেষ হলে চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা সহনীয় থাকবে বলে আমরা আশা করছি।

তিনি আরও বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে নগরীতে ৪১টি রেগুলেটর নির্মাণ করছে তিনটি সংস্থা। রেগুলেটরের মধ্যে আমরা (জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প) মাত্র ৬টি রেগুলেটর নির্মাণ করছি। যা মোট রেগুলেটরের মধ্যে মাত্র ১৫ শতাংশের মতো। ৬টির মধ্যে আমাদের ৫টি রেগুলেটর নির্মাণকাজ শেষ। একটি রেগুলেটর সংশোধিত ডিপিপিতে অর্থাৎ গতবছর যুক্ত হয়েছে। সেই রেগুলেটরের নির্মাণকাজও আমরা শুরু করেছি।

জনবল সংকট নিয়ে প্রকল্প পরিচালক বলেন, মহেশ খাল, কলাবাগিচা, মরিয়মবিবি, ফিরিঙ্গিবাজার ও টেকপাড়া খালে স্লুইস গেট নির্মাণ শেষে স্লুইস গেটগুলোর কার্যক্রম চলছে। তবে এখনও সেখানে জনবল নিয়োগ দেয়া হয়নি। ঠিকাদারদের লোকবল দিয়ে স্লুইস গেটগুলো ওঠানামা করা হচ্ছে। এসব স্লুইস গেট ও পাম্প অপারেট করার জন্য দক্ষ জনবলের প্রয়োজন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *