চট্টগ্রাম

জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অগ্রগতি জানতে পরিচালক দপ্তরে সুজন

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অগ্রগতি জানতে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফেরদৌসের সাথে মতবিনিময় করেন নাগরিক উদ্যোগের প্রধান উপদেষ্টা এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

আজ সোমবার (১১ মার্চ) সকালে প্রকল্প পরিচালকের দপ্তরে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অগ্রগতি সংক্রান্ত বিষয়ে মতবিনিময় করেন তিনি।

মতবিনিময়ে সুজন বলেন, চট্টগ্রামের জনগণকে জলাবদ্ধতার কবল থেকে মুক্ত করতে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প নামক চট্টগ্রামের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ উন্নয়ন প্রকল্পের অনুমোদন দেন প্রধানমন্ত্রী। সিডিএ’র মাধ্যমে প্রকল্পটি অনুমোদিত হলেও এর বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয় সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড-কে। সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনের কাজ দৃশ্যমান হতে শুরু করে। অনেকগুলো খালের অস্তিত্ব অনেকাংশে বিলীন হয়ে গিয়েছিল। দখলদারদের কবলে পড়ে খাল, নালা এবং ড্রেনগুলো ছিল সংকুচিত। বিভিন্ন খাল দখল করে গড়ে উঠেছিল আবাসিক এবং বাণিজ্যিক ভবন। এসব খাল, নালা দখলমুক্ত করে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ শুরু করাটা অনেকখানি চ্যালেঞ্জিং ছিল। এতোসব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়ায় প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে অভিনন্দন জানান তিনি।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্পের কাজ দৃশ্যমান হওয়ার পর থেকে নগরীর অনেকগুলো জলজটপ্রবণ এলাকা জলজট থেকে মুক্ত হতে থাকে। বিশেষ করে গত বর্ষা মৌসুমে নগরীর হালিশহর, আগ্রাবাদ, চাকতাই, খাতুনগঞ্জ এবং প্রবর্তক মোড়সহ অনেকগুলো জলমগ্ন এলাকার মানুষ জলাবদ্ধতার ভোগান্তি থেকে রক্ষা পায়। তবে আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই নগরীর ২ নম্বর গেইট, মুরাদপুর, চন্দনপুরা, বাদুরতলা, বাকলিয়া, গয়নার ছড়া, মহেশখালের কাট্টলী অংশসহ অন্যান্য জলজটপ্রবণ এলাকার জলজট নিরসনে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ জানান তিনি।

চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. ফেরদৌস সুজনকে তাঁর দপ্তরে স্বাগত জানান। তিনি সুজনের উত্থাপিত বিভিন্ন বিষয়ের সাথে একমত পোষণ করেন। তিনি বলেন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পটি সেনাবাহিনীর একটি উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জিং প্রকল্প। দীর্ঘ সময় ধরে নিবিড়ভাবে কাজ করার ফলে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের কাজ এখন অনেকটাই দৃশ্যমান। নগরীর অনেকগুলো জলজটপ্রবণ এলাকা এখন জলজটমুক্ত হয়েছে এ প্রকল্পের কারণে। খালগুলোর দু’পাড়ে রিটার্নিং ওয়াল এবং ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। অনেক জায়গায় দৃষ্টিনন্দন ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। মূলত নগরবাসীর সহযোগিতার ফলে জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অগ্রগতি বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

মতবিনিময়ে নাগরিক উদ্যোগের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাজী মো. ইলিয়াছ, সদস্য সচিব হাজী মো. হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *