দেশজুড়ে

জলাবদ্ধতা-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইস্যুকে গুরুত্ব দিতে আহ্বান

ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানরা অনেক সৌভাগ্যবান। কারণ, তারা গ্রাম আদালত পরিচালনা করতে পারেন।

যদিও পক্ষপাতদুষ্টতার কারণে অনেক স্থানে আমরা দেখতে পাই, হয় চেয়ারম্যানরা গ্রাম আদালতে বসেন না; নয়তো বিচার প্রার্থীরা আসেন না। নারায়ণগঞ্জ রাজস্ব খাতে শীর্ষে।

শনিবার (১ জুন) দুপুরে এসডিজি স্থানীয়করণ এবং জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সংক্রান্ত কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

নারায়ণগঞ্জের যেসব কারখানা পরিবেশ দূষণ করছে তাদের নিয়ে সভা করার বিষয়ে জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দেন বিভাগীয় কমিশনার। প্রয়োজনে ওইসব পরিবেশ দূষণকারী কারখানার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলেন তিনি।

সভায় তিনি বলেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন আবেদন দ্রুত নিষ্পত্তি করতে হবে। সংশোধনের আবেদন যাতে বেশিদিন পেন্ডিং না থাকে। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য জলাবদ্ধতা ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ইস্যুকে প্রায়োরিটি দিয়ে কার্যক্রম পরিচালনার জন্য তাগিদ দেন তিনি।

সাবিরুল ইসলাম আরও বলেন, বর্তমানে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে যাচ্ছে। এজন্য সরকার সারফেস ওয়াটার ব্যবহারকে গুরুত্ব দিচ্ছে। আপনাদের এলাকার নদী, খাল, বিল যেগুলো ভরাট দখল হয়ে গেছে, সরকারি যেসব খাস জমি বেদখল হয়ে গেছে সে বিষয়ে প্রস্তাবনা আকারে আমাদের জানান। ওয়ান পারসেন্টের টাকায় আপনারা খাল খনন কচুরিপানা পরিষ্কারের প্রকল্প হাতে নিতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, না কাঁদলে মাও দুধ দেয় না। আপনারা যার যার ইউনিয়নে কি কি সমস্যা আছে সেটা প্রথমে নিজে সমাধানের চেষ্টা করবেন। না পারলে প্রস্তাবনা আকারে আমাদের কাছে পাঠান। স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে সরকার জনগণের কাছে পৌঁছায়। ২০৪১ সালে উন্নত বাংলাদেশ গঠনের যে টার্গেট সে জায়গায় পৌঁছাতে হলে আপনাদের সক্রিয়তা আরও বাড়াতে হবে।

জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা প্রশাসক মো. মাহমুদুল হকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন ডা. এএফএম মুশিউর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মো. সোহান সরকার, স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক মো. মৌরিন করিম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো. শফিকুর আলম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাকিব আল রাব্বী, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা দেদারুল ইসলাম, জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামানসহ বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, ৩৯টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সচিবরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *