জাতিসংঘ পুলিশের কার্যক্রমে অবদান রাখার অঙ্গীকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, জাতিসংঘ পুলিশের কার্যক্রমে ফলপ্রসূ অবদান রাখাতে বাংলাদেশ প্রস্তুত।
শুক্রবার (২৮ জুন) জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এ তথ্য জানায়।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জাতিসংঘ পুলিশ প্রধানদের চতুর্থ সম্মেলনে ‘শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে অভিনব কৌশল ও সম্ভাব্য সংঘাতের ক্ষেত্র’ প্রধান সেশনে প্রথম বক্তা হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে দেওয়া বক্তব্যে বর্তমান পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপটে, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে প্রাসঙ্গিক ও নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক বিশেষায়িত পুলিশিং-এর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। শান্তিরক্ষা কার্যক্রম চলমান দেশগুলোর আইন ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত সংস্থার দক্ষতাবৃদ্ধির ওপরও জোর দেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারী পুলিশ সদস্য প্রেরণ বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের বিরুদ্ধে নানবিধ অপপ্রচার রোধে জাতিসংঘের গৃহীত ব্যবস্থায় বাংলাদেশের অবদান তুলে ধরেন।
এই সম্মেলন চলাকালে গাম্বিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আবদৌলে সানিয়াং, জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল ফর পিস অপারেশন্স জ্যঁ পিয়েরে লাখোয়া এবং আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেল ফর অপারেশনাল সাপোর্ট অতুল খারের সঙ্গে তিনটি পৃথক বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
জাতিসংঘের আন্ডার-সেক্রেটারি-জেনারেলদের সঙ্গে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিত্য নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি ও সক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরেন।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দফতরে ২৬-২৭ জুন দুই দিনব্যাপী জাতিসংঘ পুলিশ প্রধানদের চতুর্থ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, এমপি বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত, বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক কামরুল আহসান এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের সদস্য হিসেবে সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন।