জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে চট্টগ্রামে পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত
পুলিশি হয়রানি বন্ধ, জেলা ভিত্তিক ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, মেট্রো এলাকায় প্রাইমমুভার ট্রেইলারসহ নানা দাবিতে পরিবহন শ্রমিক মালিক সংগঠনের ডাকা ৩৬ ঘণ্টার পরিবহণ ধর্মঘট স্থগিত করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের আশ্বাসে এই ধর্মঘট স্থগিত করা হয়।
শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের পর ধর্মঘট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত জানায় সংগঠনটি। এর আগে আগামীকাল রবিবার (১৯ মে) থেকে ২০ মে পর্যন্ত বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫ জেলায় ৩৬ ঘণ্টা পণ্যবাহী সড়ক পরিবহন শ্রমিক কর্মবিরতির ডাক দেয় সংগঠনগুলো।
বৈঠকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেছেন, আগামী এক মাসের মধ্যে পরিবহন নেতাদের যৌক্তিক দাবিসমূহের বিষয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হবে।
আজ শনিবার (১৮ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রাম জেলা ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিকদের বিরুদ্ধে মামলার ফাইনাল রিপোর্ট প্রদান এবং ২০১৮ সালের সড়ক পরিবহন আইনের সংশোধন, অবিলম্বে চুক্তি অনুযায়ী বিপিসি কর্তৃক ট্যাংকলরি টার্মিনাল নির্মাণ, এক জায়গায় ট্যাংকলরির কাগজ পত্র চেকিং, অবিলম্বে সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগ পত্র প্রদান, ক্যাটাগরি ভিত্তিতে ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান ও ডোপ টেস্ট সহজীকরণ, মেট্রো এলাকা জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে পুলিশি হয়রানি বন্ধ, জেলা ভিত্তিক ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, মেট্রো এলাকায় প্রাইমমুভার ট্রেইলার, ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবিতে রবিবার (১৯ মে) থেকে (২০ মে) পর্যন্ত বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৫ জেলায় ৩৬ ঘণ্টা পণ্যবাহী সড়ক পরিবহন শ্রমিক কর্ম বিরতি প্রসঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকে জেলা প্রশাসকের আহবানে সাড়া দিয়ে পরিবহণ নেতৃবৃন্দ আপাতত ধর্মঘট স্থগিত করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক শ্রমিক নেতাদের দাবির সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেন এবং তাদের দাবি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এ সময় তিনি উপজেলা পর্যায়ে ডোপ টেস্ট চালু করার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনা প্রদান করেন। বেআইনি পরিবহন সংগঠনের বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ ও পরিবহন শ্রমিকদের নিয়োগ প্রদানের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য শ্রম দপ্তরকে নির্দেশনা প্রদান করেন। তিনি টার্মিনাল নির্মাণের বিষয়ে সিটি কর্পোরেশন ও সিডিএ এর সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ প্রদান করেন।
উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এ কে এম গোলাম মোর্শেদ খানসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিআরটিএ, বিপিসি, গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তাগণ এবং পরিবহন শ্রমিক মালিক সংগঠনসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ।’