জোড়া লাগানো যমজ শিশুর জন্ম চট্টগ্রাম মেডিকেলে
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে জন্ম নিল জোড়া লাগানো যমজ নবজাতক। মঙ্গলবার দুপুরে মেডিকেলের প্রসূতি বিভাগে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে হালিশহরের এক গৃহবধূ এই যমজ সন্তানের জন্ম দেন। ছেলেবাচ্চা দুটির বুক ও পেট জোড়া লাগানো।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এই ধরনের জোড়া লাগানো যমজ বাচ্চাকে কনজয়েন্ট টুইন বলা হয়। ২৬ বছর বয়সী সীমা আকতার নামে গৃহবধূটির এই যমজ সন্তান প্রথম প্রসবের ঘটনা। এর আগে বেলা ১১টায় ওই গৃহবধূকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চমেক প্রসূতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শাহানা বেগম এই অস্ত্রোপচারে নেতৃত্ব দেন।
শাহানা বেগম বলেন, ১ ডিসেম্বর আলট্রাসনোগ্রামে এই গৃহবধূর জোড়া লাগা যমজ শিশুর বিষয়টি ধরা পড়ে। এমনিতে জানুয়ারির ১২ তারিখ তাঁর প্রসবের সময় ছিল। কিন্তু জোড়া লাগানো হওয়ায় আগেভাগে (৩৬ সপ্তাহে) অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। নইলে প্রসূতির জীবন শঙ্কা হতে পারত। প্রসূতির স্বজনেরা জানান, অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার প্রথম দিকে একটা আলট্রাসনোগ্রাম করা হয়েছিল। তখন বোঝা যায়নি জোড়া লাগানো শিশু। ১ ডিসেম্বর চিকিৎসক আবদুল লতিফ আলট্রাসনোগ্রাম করালে বিষয়টি ধরা পড়ে। এরপর আগেভাগে কীভাবে সিজারিয়ান অস্ত্রোপচার করা যায়, এটা নিয়ে চিন্তিত হয়ে পড়েন তাঁরা।
শাহানা বেগম জানান, প্রতি দুই লাখ অন্তঃসত্ত্বার মধ্যে একজনের এ ধরনের জোড়া লাগানো যমজ শিশু জন্ম নিতে পারে। চমেকে হওয়া এই দুটি ছেলেশিশুর বুক ও পেটের দিকে জোড়া লাগানো। বাকি সবকিছু আলাদা।যমজ শিশু দুটির ওজন ৪ দশমিক ৬ কেজি। দুজনকে চমেক হাসপাতালের নবজাতক ওয়ার্ডে নিবিড় পরিচর্যায় রাখা হয়েছে। মা এখন স্থিতিশীল রয়েছেন বলে চিকিৎসকেরা জানান।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ সাহেনা আক্তার আবার প্রসূতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান। জানতে চাইলে তিনি বলেন, চমেক হাসপাতালে আগেও এই ধরনের জোড়া লাগানো শিশুর জন্ম হয়েছে।
মঙ্গলবার অস্ত্রোপচারে আরও ছিলেন সহকারী অধ্যাপক রোজিনা আহমেদ ও সহকারী রেজিস্ট্রার সাজিয়া নওরিন।