জৌলুশ হারিয়েছে নিউ মার্কেট
এক সময়ে চট্টগ্রামের অভিজাত শপিংমল বলতেই ছিল বিপণী বিতান, লোকমুখে যেটি নিউ মার্কেট হিসেবেই পরিচিত। অভিজাত শ্রেণির মানুষ কেনাকেটা সারতেন এ মার্কেটের চার দেয়ালের ভেতরেই। ষাটের দশকের পরে যাত্রা শুরু করা মার্কেটটি সেই জৌলুশ হারিয়েছে কালক্রমে। নগরজুড়ে এখন নামিদামি অনেক বিপণী বিতান।
ফলে নামিদামি এসব বিপণীবিতানসহ পাশঘেঁষে গড়ে ওঠা রিয়াজউদ্দিন বাজার, টেরিবাজারের সঙ্গে সমানতালে পাল্লা দিয়ে ব্যবসা ধরতে হচ্ছে এখানকার ব্যবসায়ীদের। তাই ঈদ ঘিরে মার্কেটজুড়ে চলছে নানা অফার।
বিপণী বিতান ঘুরে দেখা গেছে ক্রেতায় ভরপুর। ছেলেদের পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট ও জুতার বিভিন্ন দোকান ঘিরে ক্রেতার ভিড়। এসব দোকানে দেওয়া হচ্ছে ঈদ উপলক্ষে বিশেষ ছাড়। ছাড়ের অফার লুফে নিতেই তরুণদের একটি অংশ এ মার্কেটে ভিড় জমায় বলে জানা গেছে। কাপড়, খাবার দোকান ছাড়া বেশিরভাগ দোকান ভাড়া দেওয়া হয়েছে মৌসুমী ব্যবসায়ীদের কাছে। কেউ কেউ দোকানের অর্ধেক অংশে ঈদের কাপড় তুলে সারাবছরের ঘাটতি কিছুটা কাটাতে চান।
মাহাবুবুর রহমান নামে এক ব্যবসায়ী সিভয়েস২৪-কে বলেন, ‘এখন আর আগের সেই জৌলুশ নেই বিপণী বিতানে। বিভিন্ন আধুনিক মার্কেট গড়ে উঠার কারণে এখানে মানুষ কম আসে। গত করোনার সময় প্রায় ৫০ লাখ টাকার লোকসান গুনতে হয়েছিল। এরপরের দুই বছর সময় লেগেছে লোকসান কাটিয়ে উঠতে।’
নগরের আনাচে কানাচে থাকা বিপণী বিতান, রিয়াজউদ্দিন বাজার, টেরিবাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসা ছড়িয়ে যাওয়ায় ব্যবসার এ হাল বলে মনে করছেন তিনি।
এদিকে, চলতি সপ্তাহ থেকে এখানে ঈদবাজার আরও জমে উঠবে বলে আশা করছেন মার্কেটের আরেক ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘অনেক বছর ধরে ঈদবাজার দেখছি। মূলত ঈদের ১০ দিন আগে থেকে মানুষ মার্কেটমুখী হয়। তাছাড়া অনেকে বেতন ও বোনাস পাবেন। এরপরই হয়তো ক্রেতার আনাগোনা আরো বাড়বে।’
ছেলেদের প্যান্ট, শার্ট, পাঞ্জাবি, জুতার বিভিন্ন দোকানে ছাড় দিলেও শাড়ি থ্রি-পিসের বাড়তি দাম বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা। উত্তর নালাপাড়া এলাকার বাসিন্দা সাদিয়া হক বলেন, ‘পুরুষের তুলনায় মেয়েদের কাপড় বিশেষ করে শাড়ির দাম এখানে বেশি। দোকানিরা দাম ছাড়তে নারাজ। ১২শ’ টাকার নিচে নিউমার্কেটে কোনো জামা নেই।’