অন্যান্যদেশজুড়ে

টাকার ভাগাভাগি নিয়ে সংঘর্ষে ৯ জন টেঁটাবিদ্ধসহ আহত ২০

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে বালুচর ইউনিয়নের পূর্ব চান্দেরচর গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ৯জন টেঁটাবিদ্ধসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া সংঘর্ষে ৪টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ২৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে।

বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ৬ টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে বালুচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আলেক চান সজীব আহত হন।

সংঘর্ষের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে দৈনিক মানবকণ্ঠের সিরাজদিখান প্রতিনিধি সালাহউদ্দিন সালমান গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

সাংবাদিক সালাউদ্দিন সালমান বলেন, ‘সংঘর্ষের খবর পেয়ে সংবাদ সংগ্রহের জন্য যাচ্ছিলাম। হঠাৎ সিরাজদিখান থানার ওসি মুজাহিদুল ইসলামসহ আরও কয়েকজন পুলিশ আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালান। আমার পরিচয় দেওয়ার পরেও মেরেছে। এ বিষয়ে আমি সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছি।’

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব চান্দেরচর গ্রামের কামিজুদ্দিন কামু (৬০) ও একই এলাকার কালাচান মাদবর (৫৫) সমর্থকদের মধ্য ফসলি জমির মাটিকাটার টাকা ভাগ ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এর আগে গত ২১ জুন উভয় পক্ষর মধ্য সংঘর্ষ হয়েছিল, ওই সংঘর্ষে ৪ জন টটাবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়েছিলেন।

বালুচর ইউপি চেয়ারম্যান মা. আওলাদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আলেকচান সজীব সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হয়েছেন। বর্তমানে স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি আছেন তিনি। বেশ কয়কজন টটাবিদ্ধ হয়েছে বলে আমি শুনেছি।’

সিরাজদিখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মা. মুজাহিদুল ইসলাম জানান, ফসলি জমির মাটি কাটার টাকা ভাগ বাটোয়ারা ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মারামারি হয়েছে। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন টটাবিদ্ধ আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ২৫ রাউন্ড গুলি ছুড়া হয়েছে।

সাংবাদিকের ওপর হামলার বিষয়ে ওসি বলেন, ‘এটা একটা ভুল বাঝাবুঝি হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *