টিআর, কাবিখার বরাদ্দের বিনিময়ে ভোটার টানছে পটিয়ার সামশুল
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপির বিরুদ্ধে সরকারি বরাদ্দের বিনিময়ে ভোটার টানার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নৌকার মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে হুইপ সামশুল হক চৌধুরী এমপি আশ্রয় নিয়েছেন নানা কৌশলের। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অধীনে আগের তারিখের কাবিখা ও টিআর কর্মসূচির ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আওতায় বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যদের মাধ্যমে টিউবওয়েল বিতরণ ও বাড়ি করার নামে ভোট প্রার্থনা করার অভিযোগ সামশুল হক চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
নৌকা সমর্থিত একাধিক ভোটার জানান, শোভনদন্ডী ইউনিয়নে বিএনপি থেকে অনুপ্রবেশকারী নারী মেম্বার নাছিমা আকতার বাড়ি বাড়ি গিয়ে সামশুল হক চৌধুরীর নামে ভোট প্রার্থনা করে নলকূপ বিতরণ ও রাস্তাঘাট করার কথা বলছেন। প্রতিটি নলকূপের নামে ৩০০০০ (ত্রিশ হাজার) টাকা নিচ্ছেন নারী মেম্বার। গ্রামের অনেক সহজ সরল মানুষ ৩০০০০ (ত্রিশ হাজার) টাকার বিনিময়ে প্রায় ২৫০০০০ (আড়াই লাখ) টাকার নলকূপের লোভে পড়ে টাকাও দিয়ে দিচ্ছেন।
বর্তমান এমপি সামশুল হক চৌধুরীর স্বতন্ত্র প্রতীক ঈগল মার্কায় ভোট না দিলে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, স্বামী পরিত্যক্ত ভাতা, ভিজিএফ, ভিজিডি, টিসিবির পণ্যসহ সরকারি বিভিন্ন ভাতা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছেন নারী মেম্বার নাছিমাসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সমর্থকরা। তারা বিভিন্ন এলাকায় সরকারি টিআর-কাবিখার টাকা বরাদ্দ দিয়েও ভোটার ও কর্মী-সমর্থকদের কাছে টানার চেষ্টা করছে।
অভিযোগ- দলের ত্যাগী ও সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে সামশুল হক চৌধুরীর অফিসের কর্মচারী এমরান হোসেনকে কয়েক দফায় কয়েক লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে এলাকার সচেতন মানুষ ও দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এধরনের অহরহ অভিযোগ রয়েছে সমগ্র পটিয়াজুড়ে।
এ ব্যাপারে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কাছে অভিযোগ করেন চট্টগ্রাম-১২ আসনে (পটিয়া) আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী।
জানতে চাইলে মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের অনুকূলে পূর্বের তারিখের বরাদ্দ ও বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যদের মাধ্যমে নির্বাচন উপলক্ষে টিউবওয়েল বিতরণ করছেন সামশুল হক চৌধুরী। এ ব্যাপারে আমি আপাদত রিটানিং অফিসারকে মৌখিক অভিযোগ দিয়েছি, লিখিত অভিযোগ দেব।
চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং অফিসার আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, টেলিফোনে আমাকে অভিযোগ জানিয়েছেন। আমি বিষয়টি ইউএনওকে দেখার জন্য বলেছি।
উল্লেখ্য, তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থীদের এধরনের বরাদ্দ বিতরণের কোনো এখতিয়ার নেই।