টেকনাফে মাদ্রাসার ছাত্র অপহরণ, ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি
কক্সবাজারের টেকনাফে মো. সাইফ (৯) নামের নুরানী মাদ্রাসার এক ছাত্রকে অপহরণ করা হয়েছে। অপহৃত মো. সাইফ জাদিমুড়ার রহমানিয়া হোসাইনিয়া মাদ্রাসার নূরানী বিভাগের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র ও মৃত মোহাম্মদ হোছনের ছেলে।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমুড়া নয়াপাড়া শালবাগান রাস্তার মাথা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রকে উদ্ধারের জন্য টেকনাফ মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা ঘটনাটি শুনেছি। তাকে উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে’।
প্রত্যক্ষদর্শী ভিকটিমের সহপাঠী মোহাম্মদ ফাহিম জানায়, মাদ্রাসা ছুটি শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাইফকে একজন যুবক এসে বলে তোমার ভাবি আমার কাছে ৫ হাজার টাকা পাবে সেগুলো নেওয়ার জন্য বাড়িতে চলো। এরপরও যখন ভিকটিমকে বিশ্বাস করাতে পারছিল না তখন অপহরণ চক্রের সদস্য তার মোবাইল থেকে সাইফের ভাবিকে কল দিয়ে কথা বলিয়ে দেওয়ার অভিনয় করে ১০ টাকার একটি নোট হাতে দিয়ে তাকে নিয়ে যায়।
অপহৃত ছাত্রের মামা জামাল উদ্দীন বলেন, ‘২৮ এপ্রিল বিকালে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে নয়াপাড়া শালবাগান রোহিঙ্গা ক্যাম্প রাস্তার মাথা থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। প্রতিদিনের মতো মাদ্রাসা ছুটি হয়ে রাত হলেও ছেলে বাড়িতে ফিরে না আসায় আমরা বাড়ির লোকজন তাকে খুঁজতে বের হই। অনেক খোঁজাখুঁজির পরে না পেয়ে বাড়িতে ফিরে আসি। পরে সকালে একটি মোবাইল ফোন থেকে বাড়িতে কল করে সাইফকে পেতে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিতে হবে। টাকা না দিলে তাকে পাওয়া যাবেনা বলে মোবাইল কেটে দেন। তখন জানতে পেরেছি তাকে অপহরণ করা হয়েছে’।
ভিকটিমের বড় ভাই রিয়াজ উদ্দীন জানান, আমাদের পিতা নেই। বেশি টাকাও নেই। অপহরণকারীরা এত টাকা মুক্তিপণ দাবি করলে আমরা তা কিভাবে দেব। আমার ভাইকে জীবিত উদ্ধারে প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।