টেকনোক্র্যাট মন্ত্রী হতে সাবেক এমপি সামশুর ‘তদবির’
চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে টানা তিনবার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন সামশুল হক চৌধুরী। ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপও। তবে, এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েও বঞ্চিত হয়েছেন তিনি। ওই আসনের নৌকার ‘মাঝি’ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীর সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ে ‘ভরাডুবি’ হয় সামশুর। তবে আশা ছাড়েননি তার সমর্থকরা। এলাকায় গুঞ্জন উঠেছে, টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী করা হচ্ছে তাকে।
স্থানীয় অনেকে বলছেন, সদ্য বিদায়ী ‘দাপুটে হুইপ’ সামশুল হক চৌধুরী এবারের নির্বাচনে নৌকাবঞ্চিত হয়ে ব্যাপক ‘রাজনৈতিক ক্ষতির’ মুখে পড়েছেন। তাঁর এমপি থাকাকালীন সময়ের ‘বন্ধু-নেতাকর্মী’ মুহূর্তেই তাঁর সঙ্গ ছেড়ে চলে যান।
সামশু আশা করেছিলেন, দল মনোনয়ন না দিলেও স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনী দৌড়ে পটিয়ার বেশিরভাগ নেতাকর্মী তাঁর সঙ্গেই থাকবেন। অন্তত তার কাছ থেকে ‘সুবিধাভোগী’ নেতাকর্মীরা তাকে ছেড়ে যাবেন না! নির্বাচনী মাঠে নেমে বুঝলেন, সবই মিথ্যা। উল্টো মাঠে ওই ‘সুবিধাভোগীদের’ হাতেই লাঞ্ছনার শিকার হতে হয়ে তাকে। শুধু সামশু নন, তার পরিবারও হেনস্থার শিকার হন। ফলশ্রুতিতে নির্বাচনে ভরাডুবি হয় তার। এমন অবস্থায় সামশুল হক চৌধুরী ‘অস্তিত্ব রক্ষায়’ কিছু একটা তো করবেন—এটাই স্বাভাবিক! আপাতত আসন্ন মন্ত্রিসভায় ঠাঁই নিতে তার চেষ্টা চালানো মোটেও অবিশ্বাস্য নয়। এক্ষেত্রে টেকনোক্র্যাট কোটায় মন্ত্রী হওয়ার সুযোগ উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
এদিকে নির্বাচনে হেরে ‘কোণঠাসা’ হয়ে পড়া বিদায়ী এই হুইপের ছেলে ও তার প্রধান নির্বাচন সমন্বয়কারীর দায়িত্বে থাকা নাজমুল করিম চৌধুরী শারুণ মন্ত্রী হওয়ার বিষয়টি ‘গুজব’ বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। ‘বিষয়টি সত্য নয়’ জানিয়ে উল্টো শারুন বলেন, ‘আমি তো ফেসবুকে দেখেছি, নতুন সংসদ সদস্য মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরীকেই মন্ত্রী করা হচ্ছে!’