ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলায় পদ্মায় বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলারডুবির তিনদিন পর নিখোঁজ ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্যের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে নদীর চর হাসাইল ও চৌসার এলাকা থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে জানিয়েছেন টঙ্গীবাড়ি থানার ওসি মোল্লা সোয়েব আলী। মৃতরা হলেন- রাজধানীর ধানমণ্ডির বাসিন্দা ব্যবসায়ী মাহফুজুর রহমান রানা ও সিরাজদিখানের মালখানগর ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য হারুন অর রশিদ।
ওসি জানান, সকালে নিখোঁজ ওই দুজনের মরদেহ পদ্মার চর হাসাইল ও চৌসার এলাকায় ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। ঘটনার পর যাত্রীদের অনেকেই সাঁতরিয়ে তীরে উঠতে সক্ষম হন। তবে ফহিজা আক্তার নামে এক শিশু ও সেফা আক্তার নামে এক কিশোরী মারা যায়।
স্থানীয়রা জানান, ট্রলারটিতে মাহফুজুর রহমান রানার পরিবারের পাঁচ সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে স্ত্রীসহ তিনজন জীবিত উদ্ধার হলেও খালাতো বোন ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী সেফা আক্তার মারা যায় আর রানার খোঁজ মেলেনি। একইসঙ্গে নিখোঁজ ছিলেন ইউপি সদস্য হারুন অর রশিদ।
রোববার দুপুর দেড়টার দিকে বিআইডব্লিউটিএর ক্রেন দিয়ে পানির নিচ থেকে উদ্ধার করা হয় দুর্ঘটনাকবলিত ট্রলারটি।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএর উপ-পরিচালক ওবায়দুল করিম খান জানান, দুর্ঘটনার ১৯ ঘণ্টা পর ক্রেনে করে ৫৬ ফুট দীর্ঘ ট্রলারটি টেনে তোলা হয়। এর সাড়ে ৫ ঘণ্টা আগে ৩০ ফুট পানির নিচে থাকা ট্রলারটি শনাক্ত করা হয়।