ঠাণ্ডা লেগে বন্ধ নাক?
এই সময়ে ভাইরাসের খপ্পরে পড়ে অনেকেরই নাক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। তবে নেজাল কনজেনশনের জন্য শুধু ভাইরাসকে দোষ দিয়ে লাভ নেই।
বরং এই সমস্যার জন্য সমানভাবে দায়ী হলো ধুলাবালু ও ধোয়া। তাই অ্যালার্জির সমস্যায় ভুক্তভোগীদেরও এই সময়টায় নাক বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। এমনকি তারা শ্বাসকষ্টের ফাঁদেও পড়তে পারেন।
তবে মুশকিল হলো, আমাদের মধ্যে অনেকেই নাক বন্ধ হয়ে যাওয়া মাত্রই ডিকনজেস্টন নেজাল ড্রপ ব্যবহার করেন। এতে সঙ্গে সঙ্গে উপশম মেলে ঠিকই। কিন্তু সমস্যাকে মূল থেকে উৎপাটন করা সম্ভব হয় না। তাহলে চলুন এ সমস্যার ঘরোয়া সমাধান খুঁজে নেওয়া যাক।
স্টিম নিতে হবে:
বন্ধ নাক খুলতে চাইলে আপনাকে দিনে অন্ততপক্ষে তিন বার স্টিম নিতেই হবে। এক্ষেত্রে এক পাত্র পানি ফুটিয়ে নিন। এবার মাথার ওপর থেকে একটা কাপড় জড়িয়ে নিয়ে পানি থেকে উঠতে থাকা বাষ্প নাক ও মুখ দিয়ে জোরে জোরে টানতে থাকুন। হলফ করে বলতে পারি, এই কাজটা করলেই নিমেষে আপনার বন্ধ নাক খুলে যাবে। এমনকি বুকে ও মাথায় জমে থাকা কফও বেরিয়ে চলে আসবে। তাই বিপদের সময় এই টোটকা ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেন!
গরম সেক:
এই সমস্যার সমাধান করতে চাইলে আপনাকে নাকের দুই ধারে এবং কপালে গরম সেক দিতে হবে। তাতেই বন্ধ নাক খুলে যাবে। এমনকি আপনার সাইনাসে জমে থাকা কফও নাক দিয়ে বাইরে বেরিয়ে আসবে। ফলে নাক দিয়ে শ্বাস নিতে আর সমস্যা হবে না। কোনোমতেই খুব গরম কাপড় দিয়ে নাকে সেক দেবেন না। এই কাজটা করলে মুখের চামড়া পুড়ে যেতে পারে। তখন আবার আরেক ঝক্কি পোহাতে হবে।
আদার যাদু:
আমাদের অতি পরিচিত আদায় রয়েছে অ্যান্টিইনফ্লামেটরি কিছু উপাদান। আর এসব উপাদান বন্ধ নাক খুলে দেওয়ার কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, নিয়মিত আদা খেলেই কমবে কাশি।
মধু খাওয়া:
যুগের পর যুগ ধরে ভারতীয় আয়ুর্বেদ চিকিৎসায় মধুর ব্যবহার হয়ে আসছে। বিশেষত, এই প্রাকৃতিক উপাদানের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ সর্বজনবিদিত। তাই তো বিশেষজ্ঞরা নাক বন্ধ হয়ে গেলে রোজ সকালে এক চামচ মধু খাওয়ার পরামর্শ দেন। এই কাজটা করলেই আপনার বন্ধ নাক খুলে যাবে। এমনকি কমবে সর্দি, কাশির প্রকোপ।
রসুনের জুড়ি:
রসুনে রয়েছে অত্যন্ত উপকারী কিছু অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি উপাদান। এসব উপাদানে বন্ধ নাক খুলে দেওয়ার কাজে সিদ্ধহস্ত। বুকে জমে থাকা কফকে বাইরে বের করে দেওয়ার কাজেও রসুনের জুড়ি মেলা ভার।