চট্টগ্রাম

ডবলমুরিং থানায় অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশের মামলা, আসামি ১২ হাজার

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন ছাত্র-জনতার আন্দোলন থেকে একটি মিছিল নিয়ে কয়েক হাজার মানুষ নগরের ডবলমুরিং থানায় হামলা চালায়।

সেদিন অস্ত্র লুট ও ভাঙচুর করে থানা পুড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই ঘটনায় এবার মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এতে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষকে আসামি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) রাতে ডবলমুরিং থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. ইমাম হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার বিষয়ে ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের পাটোয়ারী বলেন, থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অস্ত্র লুটের অভিযোগে অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট বিকেলে ডবলমুরিং থানায় দেশীয় অস্ত্র, লোহার রড ও ককটেল নিয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে ১০ থেকে ১২ হাজার দুর্বৃত্ত। হামলাকারীদের ভয়ে পুলিশ সদস্যরা আত্মরক্ষার্থে থানা ছেড়ে পালিয়ে গেলে ভাঙচুর লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে অস্ত্র ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। এছাড়া দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে থানার রেজিস্ট্রারপত্র, সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং মালামাল পুড়ে যায়। এ ঘটনায় অনেক পুলিশ সদস্যও আহত হন।

এর আগে, গত ২৪ আগস্ট রাতে নগর পুলিশের কোতোয়ালী থানায় হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৩০ থেকে ৪০ হাজার জনকে আসামি করে থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাশ বাদী হয়ে মামলাটি করেছিলেন। একই তারিখে ইপিজেড থানার ২৫ থেকে ৩০ হাজার ও সদরঘাট থানা ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এছাড়া গত ২৪ আগস্ট নগরের পতেঙ্গা, পাহাড়তলী ও আকবরশাহ থানায় ভাঙচুর-লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাত ৪৫ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *