ডিগ্রি কলেজে নিয়োগ পেতে বয়স জালিয়াতি
সিরাজগঞ্জ: কামারখন্দ উপজেলার কোনাবাড়ী শহিদুল বুলবুল ডিগ্রি কলেজে নিয়োগ পেয়ে বয়স জালিয়াতি করেছেন এক প্রার্থী। অপর দুই প্রার্থীর অভিযোগের ভিত্তিতে বিষয়টি সামনে এসছে।
জানা গেছে, এস এম জাহিদ হাসান নামে এক যুবক কোনাবাড়ী শহিদুল বুলবুল ডিগ্রি কলেজের ল্যাব সহকারী ‘আইসিটি’ পদে নিয়োগ পেতে বয়স জালিয়াতির আশ্রয় নেন। তার প্রকৃত জন্ম তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৮৫ হলেও চাকরি পেতে তিনি জাতীয় পরিচয় পত্র এডিটিং করে বয়সের ঘরে ৩০ ডিসেম্বর ১৯৯৭ লিখেছেন। সেটি নিয়েই তিনি কলেজের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নেন। কর্তৃপক্ষও তাকে নির্বাচিত করে নিয়োগের জন্য সুপারিশ করে।
মো. রহমত হোসেন রানা ও মোছা. কুলসুম খাতুন নামে দুই নিয়োগপ্রার্থী বিষয়টি জানতে পেরে এস এম জাহিদ হাসানের নিয়োগপত্র ইস্যু না করতে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। তারা অভিযোগ পত্রে লিখেছেন- গত ২৩ ডিসেম্বর কোনাবাড়ী শহিদুল বুলবুল ডিগ্রি কলেজের ল্যাব সহকারী ‘আইসিটি’ পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই পরীক্ষায় তারা দুজনসহ তিন প্রার্থী উত্তীর্ণ হন। কিন্তু বয়স জালিয়াতির মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া এস এম জাহিদ হাসানকে নির্বাচিত করে নিয়োগ কমিটি।
জাহিদ হাসান তার জাতীয় পরিচয় পত্রে নিজের, পিতা-মাতার নাম ও আইডি নম্বর ঠিক রেখে জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৮৫ এডিট করে ৩০ ডিসেম্বর ১৯৯৭ লিখেছেন। জাতীয় পরিচয়পত্র জালিয়াতির করায় তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ ও নিয়োগের সুপারিশ বাতিল করার দাবী করছি।
বিষয়টি সম্পর্কে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, জাহিদ হাসান প্রথম স্থান অধিকার করায় তাকেই নিয়োগের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে অপর দুই প্রার্থী জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক তদন্ত করছেন। তার এসএসসি সনদ ও জন্ম নিবন্ধন চেক করা হয়েছে। ন্যাশনাল আইডি কার্ড পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মো. রায়হান কবির বলেন, এখনও কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেয়েছি। আমরা অভিযোগটা তদন্ত করে দেখছি।