জাতীয়

‘ডিজিটাল অগ্রগতির সঙ্গে বাড়ছে সাইবার অপরাধ’

জাতীয় সংসদে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের যত অগ্রগতি হচ্ছে, সাইবার জগতে অপরাধ প্রবণতা ও ঝুঁকি ততই বাড়ছে। এজন্য ঝুঁকি মোকাবিলায় আইন প্রণয়নসহ তা বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) জাতীয় সংসদে আবুল কালাম আজাদের এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ২০০৮ সালের আগে অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন শুরুর আগে অনলাইনে আর্থিক লেনদেন বা সরকারি সেবার তেমন কোনো কার্যক্রম ছিল না। সাইবার ঝুঁকিও কম ছিল। যত দ্রুত ডিজিটাইজেশন করেছি, তত বেশি তথ্য ও উপাত্তের সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিচ্ছে। তাই ২০১৮ সালে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট সংসদে পাস করেছিলাম। এরপর নতুন আইন সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্ট ২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিদ্যমান আইনের আলোকে চারটি মূল স্তম্ভ নিয়ে কাজ করছি। প্রথমত, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি কাউন্সিল রয়েছে। সেখান থেকে জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সব আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং অন্যান্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা কাজ করছেন। দ্বিতীয়ত, ফরেন্সিক ল্যাবেও কাজ হচ্ছে। কোনো অপরাধ যদি সংগঠিত হয় তাহলে সেই অপরাধকে ও অপরাধীদেরকে চিহ্নিত করা এবং তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ যাচাই-বাছাই করার জন্য সেই ডিজিটাল ফরেন্সিক ল্যাব কাজ করছে।

এ বি এম রুহুল আমীন হাওলাদারের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সরকারি মোবাইল সিম কোম্পানি টেলিটক সিমের নেটওয়ার্কের পরিধি বাড়াতে তিন হাজার বিটিএস সাইট (টাওয়ার) নিমার্ণের কাজ চলমান রয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের অর্থায়নে দেশের দুর্গম পার্বত্য জেলা চট্টগ্রাম, হাওর, উপকূলীয় ও দ্বীপাঞ্চল এলাকায় ৪২০ নতুন বিটিএস সাইট (টাওয়ার) স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। এর পাশাপাশি প্রস্তাবিত ‘ইউনিয়ন পর্যন্ত টেলিটকের ৪জি মোবাইল ব্রডব্যান্ড নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার বিটিএস সাইট স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এসব প্রকল্পসমূহ বাস্তবায়িত হলে টেলিটকের মোট বিটিএস সাইট (টাওয়ার) সংখ্যা ১১ হাজারে উন্নীত হবে। ফলে, সারাদেশে টেলিটকের মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবার উন্নতি হবে এবং ৪জি নেটওয়ার্ক সেবা প্রদান সক্ষমতা অর্জিত হবে।

মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে ফেক আইডি দিয়ে অপপ্রচার বন্ধে মন্ত্রী ও এমপিদের ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েড করার পরামর্শ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনারা ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট, ইউটিউব চ্যানেল ভেরিফায়েডের জন্য পাঠালে আমরা ফেরিফাই করে দেবো। ফলে ফেক আইডি দিয়ে আপনার নামে কেউ অপপ্রচার করতে পারবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *